সিগন্যাল অমান্য করে হবিগঞ্জ সদরের লস্করপুর রেলক্রসিং পার হওয়ার সময় আন্তনগর পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনের ধাক্কায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার এক নারী যাত্রী নিহত হয়েছেন। এ সময় ওই নারীর স্বামীসহ আরও তিনজন গুরুতর আহত হয়েছেন। আজ বুধবার বেলা দেড়টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। অটোরিকশার হতাহত যাত্রীরা বাহুবল উপজেলার মিরপুর বাজার থেকে শায়েস্তাগঞ্জে যাচ্ছিলেন।
নিহত নারীর নাম ফুলবানু (৫০)। তিনি হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার চরহামুয়া গ্রামের মো. আবদুল্লাহর (৬০) স্ত্রী। এ ঘটনায় আহত মো. আবদুল্লাহ, অজ্ঞাতনামা অটোরিকশার চালক ও আরেক যাত্রীকে উদ্ধার করে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
অটোরিকশার যাত্রী ফুলবানু ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান। এ ঘটনায় ফুলবানুর স্বামী মো. আবদুল্লাহ এবং অটোরিকশার চালকসহ আরও তিনজন গুরুতর আহত হয়েছেন।
হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দুপুরে চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা সিলেটগামী আন্তনগর ট্রেন পাহাড়িকা এক্সপ্রেস বেলা দেড়টার দিকে হবিগঞ্জের লস্করপুর রেলগেট পার হচ্ছিল। রেলগেটের দায়িত্বরত লোকজন রেলক্রসিংয়ে বাঁশ দিয়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের দুই পাশের যানবাহন আটকে দেন। এ সময় তাঁরা এই সিগন্যাল অমান্য করে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় রেলক্রসিং পার হওয়ার চেষ্টা করেন। ঠিক তখনই ট্রেনের ধাক্কায় অটোরিকশাটির সামনের অংশ দুমড়েমুচড়ে যায়। এতে অটোরিকশার যাত্রী ফুলবানু ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান। এ ঘটনায় ফুলবানুর স্বামী মো. আবদুল্লাহ এবং অটোরিকশার চালকসহ আরও তিনজন গুরুতর আহত হন।
এদিকে এ দুর্ঘটনার খবর পেয়ে শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশ, রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ি ও ফায়ার সার্ভিসের লোকজন ঘটনাস্থলে যান এবং হতাহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করেন। আহত তিনজনকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছেন তাঁরা।
শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মীর সাব্বির আলী প্রথম আলোকে বলেন, রেলগেটে যান চলাচল বন্ধের পরও অটোরিকশার চালক সিগন্যাল অমান্য করে রেললাইন অতিক্রমের চেষ্টা করেন। তখনই ট্রেনের ধাক্কায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত নারীর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।