নরসিংদীর রায়পুরায় ঢাকা মেইল ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত পাঁচজনের লাশ শনাক্তের চেষ্টা চলছে। আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ শনাক্তের প্রক্রিয়া শুরু করে।
এর আগে আজ ভোর সাড়ে ৫টার দিকে রায়পুরার মেথিকান্দা রেলওয়ে স্টেশনসংলগ্ন কমলপুর এলাকায় ট্রেনে কাটা পড়ে পাঁচজনের মৃত্যু হয়। ১৫ গজ দূরত্বের মধ্যে ছড়িয়ে–ছিটিয়ে থাকা তাঁদের লাশ উদ্ধার করে রেলওয়ে পুলিশ।
নিহত ব্যক্তিদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা ঢাকা মেইল ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে অথবা রেললাইনে বসে থাকা অবস্থায় এই দুর্ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। তবে এ বিষয়ে এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি রেলওয়ে পুলিশ। নিহত ব্যক্তিদের বয়স ১৮ থেকে ২৫–এর মধ্যে।
রেলওয়ে পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন বলেন, আজ সকাল ৮টার দিকে ওই রেললাইন ধরে হাঁটতে থাকা কয়েকজন ব্যক্তি ঢাকাগামী লাইনে পাঁচজন ব্যক্তির ছিন্নবিচ্ছিন্ন লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। তাঁদের মধ্যে তিনজনেরই শরীর থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন ছিল। দুজনের শরীর দ্বিখণ্ডিত ছিল। চারজনের হাত-পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ১৫ গজ দূরত্বের মধ্যেই সব কটি লাশ ছড়িয়ে ছিল।
স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে খবর পেয়ে মেথিকান্দা রেলস্টেশনের স্টেশনমাস্টার আশরাফ আলী রেলওয়ে পুলিশকে ঘটনা জানান। খবর পেয়ে সকাল ৯টার দিকে নরসিংদী রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক মো. শহীদুল্লাহ ঘটনাস্থলে গিয়ে পাঁচজনের লাশ উদ্ধার করেন।
নরসিংদী রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. শহীদুল্লাহ বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থলে এসে ছড়িয়ে–ছিটিয়ে থাকা শরীরগুলো একত্র করেছি। এরপরই পরিচয় শনাক্তের জন্য নরসিংদীর পিবিআই সদস্যদের খবর জানিয়েছি। বেলা সাড়ে ১১টায় তারা ঘটনাস্থলে এসে লাশ শনাক্তের প্রক্রিয়া শুরু করেছে।’
মেথিকান্দা স্টেশনের স্টেশনমাস্টার আশরাফ আলী বলেন, তাঁরা ট্রেনের ছাদ থেকে পিছলে পড়ে কাটা পড়েছেন, নাকি রেললাইনে বসে থাকা অবস্থায় কাটা পড়েছেন, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে নিহত ব্যক্তিরা স্থানীয় কেউ নন বলে জানা গেছে। লাশ উদ্ধারের আগে ওই রেললাইন দিয়ে আরও তিনটি ট্রেন চলাচল করেছে।
ঘটনার বিষয়ে রেলওয়ের ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন বলেন, নিহত ব্যক্তিদের লাশের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চালাচ্ছে পিবিআই। এই প্রক্রিয়া শেষ হলেই ময়নাতদন্তের জন্য তাদের লাশ মর্গে পাঠানো হবে। ঠিক কীভাবে এই পাঁচজন ট্রেনে কাটা পড়লেন, তদন্ত করে এর কারণ অনুসন্ধান চলছে।