আধিপত্য বিস্তার, মাদক ও চাঁদাবাজি নিয়ে বিরোধের জের ধরে যশোর সদর উপজেলার বাহাদুরপুর এলাকায় যুবলীগের কর্মী মো. আলী হোসেনকে (৩০) গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।
হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটনের দাবি জানিয়ে আজ রোববার বিকেলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে পুলিশ।
যশোরের আলী হোসেন হত্যা মামলার প্রধান আসামি রবিউল ইসলামকে (নবাব) অস্ত্র ও গুলিসহ গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রবিউল যশোর সদর উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামের মফজেল বিশ্বাসের ছেলে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পুলিশ জানায়, এলাকায় মাদক ব্যবসা, আধিপত্য বিস্তার, চাঁদাবাজি নিয়ে আলী হোসেন প্রতিপক্ষ রবিউল ও তাঁর মা–বাবাকে গালিগালাজ করেন। এ নিয়ে রবিউল ক্ষুব্ধ হয়ে সাগরসহ কয়েকজন সহযোগী নিয়ে গুলি চালিয়ে যুবলীগ কর্মী আলী হোসেনকে হত্যা করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মফিজুর রহমান বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে ২২ জুন রাতে সাতক্ষীরার আশাশুনি থেকে হত্যার কাজে ব্যবহৃত অস্ত্র-গুলিসহ প্রধান আসামি রবিউল ইসলাম নবাবকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ সময় তাঁর কাছ থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল, দুটি মুঠোফোন ও সাগরের মাইক্রোবাস জব্দ করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ৬ জুন রাত সাড়ে ১২টার দিকে যশোর সদর উপজেলার বাহাদুরপুর তেঁতুলতলা মোড়ে একই এলাকার আব্দুর রহমানের ছেলে যুবলীগ কর্মী আলী হোসেনকে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন আলী হোসেন।
প্রত্যক্ষদর্শী এলাকার নয়ন ও সোহানের বক্তব্যে ঘটনার রাতেই পুলিশ জানতে পারে, এ হত্যাকাণ্ডে কিসমত নওয়াপাড়ার রবিউল ইসলাম ও তাঁর সহযোগীরা জড়িত। এই ঘটনায় ১০ জুন রাতে আলী হোসেনের মা মঞ্জুয়ারা বেগম বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা করেন। রবিউল ইসলামসহ ছয়জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করা হয়। মামলার অপর আসামিরা হলেন রবিউল ইসলামের ছোট ভাই সিরাজ, পাঁচবাড়িয়া গ্রামের একরামুল, বাহাদুরপুর গ্রামের টোকন, চাঁচড়া ভাতুড়িয়া গ্রামের ইসরাজুল ও কিসমত নওয়াপাড়া গ্রামের এনামুল শেখ।