নেত্রকোনায় স্কুলছাত্রী হত্যা

বখাটে কাওছারকে জঙ্গল থেকে আটক

উপজেলার প্রেমনগর সালিপুরা এলাকার একটি জঙ্গল থেকে কাওছার মিয়াকে আটক করা হয়। আজ বুধবার দুপুরে
ছবি: প্রথম আলো

নেত্রকোনার বারহাট্টায় স্কুলছাত্রী মুক্তি বর্মণকে (১৫) কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় বখাটে কাওছার মিয়াকে (১৮) আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। আজ বুধবার বেলা তিনটার দিকে উপজেলার প্রেমনগর সালিপুরা এলাকার একটি জঙ্গল থেকে তাঁকে আটক করা হয়। নেত্রকোনা পুলিশ সুপার মো. ফয়েজ আহমেদ বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ সুপার ফয়েজ আহমেদ বলেন, ‘ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্ত বখাটে কাওছারকে আটক করতে সক্ষম হয়েছি আমরা। ঘটনাস্থল থেকে প্রায় আধা কিলোমিটার দূরে একটি ধানখেতের পাশে একটি জঙ্গলে কাওছার পলাতক ছিলেন। জেলা গোয়েন্দা পুলিশ তাঁকে আটক করেছে। কাওছারকে এখন পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এ নিয়ে বিকেল চারটার দিকে সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়েছে। সেখানে বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপন করা হবে।’

গতকাল মঙ্গলবার বেলা তিনটার দিকে বিদ্যালয় থেকে ফেরার পথে উপজেলার ছালিপুরা এলাকায় মুক্তিকে কোপান কাওছার। বিকেল পাঁচটার দিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসকেরা ওই স্কুলছাত্রীকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত মুক্তি উপজেলার প্রেমনগর গ্রামের নিখিল বর্মণের মেয়ে এবং প্রেমনগর ছালিপুরা উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। আর অভিযুক্ত কাওছার একই গ্রামের মো. শামসু মিয়ার ছেলে।

জেলা ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবদুল আহাদ বলেন, ধানখেতের পাশে একটি জঙ্গলে কাওছার লুকিয়ে ছিলেন। ডিবি সদস্য মতিউর রহমান ও চান মিয়া সেখান থেকে তাঁকে আটক করেছেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে কাওছার হত্যার ঘটনা স্বীকার করেছেন। এ ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি।  

মুক্তি বর্মণ

বারহাট্টা থানার ওসি খোকন কুমার সাহা বলেন, বিকেল পৌনে চারটার দিকে নিহত মুক্তির বাবা মামলা করতে থানায় এসেছেন। এদিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে মুক্তির লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।

এদিকে হত্যার ঘটনার প্রতিবাদে আজ বুধবার বারহাট্টায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। বেলা দেড়টার দিকে বারহাট্টা বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের সামনের সড়কে নারী প্রগতি সংঘ, ইয়ূথ গ্রুপ, কমিউনিটি ফোরাম ও সর্বস্তরে নাগরিক সমাজের ব্যানারে এই কর্মসূচি পালন করা হয়। এ সময় বক্তারা অভিযুক্ত কাওছারের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।