সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে মুঠোফোন চার্জ দেওয়াকে কেন্দ্র করে মাইকে ঘোষণা দিয়ে দুই গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন। গতকাল শনি ও আজ রোববার দফায় দফায় এই সংঘর্ষ হয়। এ সময় বেশ কয়েকটি দোকানপাট, ঘরবাড়ি ও মোটরসাইকেল ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার বর্ণির এক বাসিন্দা কোম্পানীগঞ্জ থানার বাজারের এক দোকানে মুঠোফোন চার্জ দেওয়াকে কেন্দ্র করে কাঁঠালবাড়ি গ্রাম ও বর্ণি গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা হয়। এ নিয়ে দুই গ্রামের লোকজনের মধ্যে শনিবার রাতে একাধিকবার পাল্টাপাল্টি ধাওয়া এবং সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে প্রথমে রাতে কোম্পানীগঞ্জ থানা-পুলিশ, সেনাবাহিনী ও র্যাব সদস্যরা দুই গ্রামের বাসিন্দাদের সরিয়ে দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
এদিকে রোববার সকালে দুই গ্রামেই মাইকিং করে লোকজন জড়ো করতে থাকেন। পরে দুপুর ১২টার দিকে দুই গ্রামের লোকজন কোম্পানীগঞ্জ থানার বাজার মোড়ে অবস্থান নিয়ে আবার দফায় দফায় সংঘর্ষে জড়ান। এ সময় সিলেট-কোম্পানীগঞ্জ মহাসড়কের থানার বাজার এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সংঘর্ষ চলাকালে দেশীয় অস্ত্র, ইটপাটকেলের আঘাতে উভয় পক্ষের অর্ধশতাধিক আহত হন। সংঘর্ষ থামাতে পুলিশ, সেনাবাহিনী ও র্যাব সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে উভয় পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দেন।
রোববার বিকেল চারটায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় সংঘর্ষ থামলেও পরিস্থিতি থমথমে অবস্থায় রয়েছে। আবারও যেকোনো মুহূর্তে সংঘর্ষে জড়াতে পারে উভয় পক্ষ।
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা কামরুজ্জামান রাসেল বলেন, সংঘর্ষে আহত ৫০ জন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। আহতদের মধ্যে দুজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উজায়ের আল মাহমুদ প্রথম আলোকে বলেন, রোববার বিকেলে পরিস্থিতি শান্ত হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে এবং থানার বাজার এলাকায় অবস্থান করছে। সংঘর্ষ চলাকালে ইটের আঘাতে ৫ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ২০ রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করেছে।