ধর্ষণ
ধর্ষণ

পাবনা প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ, তিনজন গ্রেপ্তার

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে চা পানের কথা বলে ডেকে নিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ছাত্রীর মা গতকাল মঙ্গলবার রাতে পাবনা সদর থানায় মামলা করার পর পুলিশ অভিযুক্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন পাবনা জেলা শহরের কালাচাঁদপাড়া মহল্লার মেহেদী মাসুদ (২৬), চক রামচন্দ্রপুর মহল্লার মাহমুদুল হাসান (২৩) ও শালগাড়িয়া ফরেস্টপাড়া মহল্লার হারুন অর রশিদ (২৭)।

পাবনা সদর থানার পরিদর্শক (অপারেশন) সঞ্জয় কুমার সাহা বলেন, আজ বুধবার দুপুরে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভুক্তভোগী ছাত্রীর মেডিকেল পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। তিনি আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, মেয়েটি পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ষষ্ঠ সেমিস্টারের ছাত্রী। ২০২২ সালের দিকে মেহেদী মাসুদের সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক হয়। এরপর মেহেদী অন্যত্র বিয়ে করায় গত মে মাসে তাঁদের সম্পর্ক ছিন্ন হয়। এ অবস্থায় গত সোমবার সন্ধ্যায় মেহেদী মেয়েটিকে চায়ের আমন্ত্রণ জানান। এরপর মোটরসাইকেলে বিভিন্ন স্থানে ঘোরাঘুরি করে রাত সাড়ে ৯টার দিকে মেয়েটিকে শহরের শালগাড়িয়া ফরেস্টপাড়ায় নিয়ে যান মেহেদী। সেখানে বন বিভাগের একটি পরিত্যক্ত ঘরে কয়েকজন মিলে তাঁকে ধর্ষণ করেন। মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে একটি অটোরিকশায় তুলে দিয়ে পালিয়ে যান অভিযুক্ত ব্যক্তিরা। পরে মেয়েটি বাড়িতে পৌঁছে পরিবারকে বিষয়টি জানান।

সদর থানার পরিদর্শক সঞ্জয় কুমার সাহা জানান, ঘটনার পর মঙ্গলবার রাতে মেয়েটির মা থানায় লিখিত অভিযোগ দেন। রাতেই অভিযুক্ত ব্যক্তিদের ধরতে অভিযান শুরু করা হয়। পরে শহরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।