পঞ্চগড়ে নাশকতা সৃষ্টিকারী ব্যক্তিদের চিনেছেন দাবি করে রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, ‘তৌহিদী জনতার নামে ধর্মকে ব্যবহার করে, ধর্মের অপব্যাখ্যা দিয়ে শান্তিপ্রিয় পঞ্চগড়ে যাঁরা জ্বালাও-পোড়াওয়ের কাজে লিপ্ত হয়েছেন, তাঁরা বিএনপি-জামায়াত শিবিরের নেতা–কর্মী ও সমর্থক। বাংলাদেশের মানুষের ভরসা ও নির্ভরতার প্রতীক আওয়ামী লীগ সরকারকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলতে তাঁরা মাঠে নেমেছেন। তাঁদের আমরা চিনি।’
আজ রোববার বিকেলে পঞ্চগড় শহরে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে জেলা ছাত্রলীগের ডাকা শান্তি সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি। নূরুল ইসলাম পঞ্চগড় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পঞ্চগড়-২ আসনের সংসদ সদস্য।
তিন দিন ধরে পঞ্চগড় শহরের উপকণ্ঠে বসবাসরত আহমদিয়া সম্প্রদায়ের সালানা জলসা বন্ধের দাবিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, সম্মিলিত খতমে নবুওয়াত সংরক্ষণ পরিষদসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ করেন।
এই আন্দোলনের মধ্যে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের অন্তত ১৫০টি বাড়িতে লুটপাট ও আগুন দেওয়া হয়েছে। এতে অনেকে আহত হয়েছেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রাণ গেছে দুই তরুণের। এর তিন দিন পর আজ পঞ্চগড় জেলা ছাত্রলীগ এই শান্তি সমাবেশের আয়োজন করে।
জ্বালাও-পোড়াওয়ের সঙ্গে ধর্মের কোনো সম্পর্ক নেই মন্তব্য করে নূরুল ইসলাম বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত শিবির পরিকল্পিতভাবে এই জ্বালাও-পোড়াও চালিয়েছে। এটা তাদের ধর্ম। ২০১৪ সাল থেকে তারা এ ধরনের কর্মকাণ্ড করে আসছে। কিন্তু শেখ হাসিনার সরকার এত দুর্বল নয়। এসব কর্মকাণ্ডের প্রতিরোধ করতে আমরা জানি। তিন দিনে পঞ্চগড়ের শান্তিপ্রিয় মানুষ যে ক্ষতির শিকার হয়েছে, এর দায় কে নেবে? আজকে যারা পবিত্র ধর্মকে ব্যবহার করে অপকর্ম করছে, মানুষের জানমালের ক্ষতিসাধন করছে, দোকানপাট লুট করছে, তারা পার পাবে না। ৫০ বছর পর হলেও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এই মাটিতে হয়েছে। এটা ভুলে গেলে চলবে না।’
শান্তি সমাবেশে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত, সহসভাপতি মনিরা পারভীন, কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি আবদুল লতিফ, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবু সারোয়ার, বিপেন চন্দ্র রায়, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আবু মো. নোমান হাসান, সাধারণ সম্পাদক সাদমান সাবিক পাটোয়ারী প্রমুখ।