রংপুরের কাউনিয়ায় স্কুলছাত্রী সানজিদা আক্তার ওরফে ইভা হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার মনিরুজ্জামান ওরফে প্রিন্স (২২) ও মেহেদী হাসান ওরফে পলাশের (২২) দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
আজ সোমবার দুপুরে ওই দুজনকে কাউনিয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতে নেওয়া হয়। সেখানে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করলে বিচারক তাঁদের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। সহকারী পুলিশ সুপার আশরাফুল ইসলাম প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, নাহেদুল ইসলাম ওরফে সায়েম (২০), মনিরুজ্জামান ও মেহেদী এই তিন তরুণ ১৬ আগস্ট স্কুলছাত্রী সানজিদাকে ঘুরতে নিয়ে গিয়ে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেন। এ ঘটনায় নিহত ছাত্রীর বাবা ইব্রাহিম খান বাদী হয়ে ১৭ আগস্ট কাউনিয়া থানায় হত্যা মামলা করেন।
পুলিশ হত্যা মামলার প্রধান আসামি নাহেদুল ইসলাম ওরফে সায়েমকে গত বুধবার গ্রেপ্তার করেছে। নাহেদুল আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন। একই সঙ্গে ওই ঘটনায় আরও দুজন জড়িত রয়েছে বলেও জানান। তাঁর তথ্যের ভিত্তিতে শেখ মনিরুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর গতকাল রোববার রাতে পীরগাছা উপজেলার ছোট কল্যাণী গ্রাম থেকে জড়িত অপর তরুণ মেহেদীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তিনি ওই গ্রামের মোক্তার হোসেনের ছেলে।
নাহেদুল ইসলাম রংপুরের পীরগাছা উপজেলার কল্যাণী ইউনিয়নের তালুক উপাশু গ্রামের নুর হোসেনের ছেলে। তিনি রংপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এবার এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। অন্যদিকে হত্যার শিকার সানজিদা কাউনিয়া উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের গোড়াই গ্রামের ইব্রাহিম খানের মেয়ে। সে পার্শ্ববর্তী পীরগাছা উপজেলার বড়দরগাহ উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
১৬ আগস্ট সকাল ১০টার দিকে স্কুলে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হয় সানজিদা। এরপর আর বাড়ি ফেরেনি। সেদিন রাত সাড়ে ১১টার দিকে কাউনিয়া থানা-পুলিশের মাধ্যমে খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন হাসপাতালে গিয়ে তার মরদেহ শনাক্ত করে। নিহত শিক্ষার্থীর গলায় এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে একাধিক জখমের চিহ্ন ছিল বলে জানিয়েছে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা চিকিৎসক মীর হোসেন।