বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় শ্বশুর আবদুস সাত্তার আকন্দকে (৮০) পিটিয়ে হত্যা করেছেন সোলেমান প্রামাণিক (৫০) নামের এক ব্যক্তি। উপজেলার গাড়িগর ইউনিয়নের মহিপুর কলোনি গ্রামে আজ সোমবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় স্থানীয় লোকজন সোলেমানকে আটক করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে সোলেমানকে তাদের কাছে সোপর্দ করা হয়।
আবদুস সাত্তারের বাড়ি উপজেলার মহিপুর কলোনি গ্রামে। আটক সোলেমান প্রামাণিকের বাড়িও একই গ্রামে।
এলাকার কয়েকজন বাসিন্দার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আজ বিকেল সাড়ে চারটার দিকে সাত্তার নামাজ পড়ে বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় সোলেমান তাঁর গতিরোধ করে লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করেন। ঘটনা জানতে পেরে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে আহত সাত্তারকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
আবদুস সাত্তারের ছেলে মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘কিছুদিন আগেও সোলেমান তাঁর বাবাকে দুইবার পিটিয়ে আহত করেছিলেন। তখন গ্রাম্য সালিসের মাধ্যমে ঘটনাটি মীমাংসা করা হয়। এবার সে আমার বাবাকে হত্যা করেছে। আমি তাঁর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’ কী কারণে তাঁর বাবার ওপর এমন আঘাত করেছেন, তা নিয়ে মিজানুর এখনই কোনো কথা বলতে রাজি হননি।
এ ব্যাপারে শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আতাউর রহমান খোন্দকার প্রথম আলোকে বলেন, সোলেমান প্রামাণিককে আটক করে পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। আইনগত পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন। সাত্তারের লাশ এখন বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রয়েছে। তবে কী কারণে এই বৃদ্ধ ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে, তা আটক ব্যক্তি ও নিহত বৃদ্ধের পরিবারের কাছ থেকে এখনো জানা যায়নি।