পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, সরকারের বিরোধিতা করতে গিয়ে দেশকে অনিশ্চয়তায় ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। এমনটা হলে দেশের কারও জন্য কল্যাণকর হবে না। সবার জন্য ক্ষতি। আজ শুক্রবার দুপুরে সিলেট সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের নাগরিকদের সঙ্গে মতবিনিময় এবং দরিদ্র মানুষের মধ্যে ঢেউটিন ও নগদ অর্থ বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কেউ কেউ সরকারকে পছন্দ না–ও করতে পারেন। কিন্তু এর মানে এই না যে দেশের ক্ষতি করবেন। অথচ তাঁরা সরকারের ক্ষতি করতে গিয়ে দেশের ক্ষতি করছেন। যাঁরা সরকারকে অপছন্দ করেন, তাঁরা দেশ ধ্বংসের তালে মেতে উঠেছেন। এতে দেশের ভালো কাজও ধ্বংস করা হচ্ছে। তাঁদের লজ্জা হওয়া উচিত।
শান্তিরক্ষা মিশনে লোক পাঠানোর পথ বন্ধ করতে কিছু লোক তদবির করেছেন জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, তাঁরা অন্যদের টাকা দিয়ে বলেছেন যে মিশনে লোক নেওয়া বন্ধ না হলে দেশে বিশৃঙ্খলা হবে। সারা দুনিয়ায় শান্তি স্থাপনের জন্য বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীরা কাজ করেন। এখন পর্যন্ত প্রায় ১ লাখ ৮৬ হাজার শান্তিরক্ষী কাজ করেছেন। এর মধ্যে পুলিশ, সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনীর সদস্যরা আছেন। কিন্তু একশ্রেণির লোক শান্তিরক্ষী মিশনে না নেওয়ার জন্য টাকা দিয়ে তদবির করছেন। তিনি দেশের স্বার্থে সব অপতৎপরতা রুখে দিতে সবার প্রতি সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী উপস্থিত জনতার উদ্দেশে বলেন, ‘মনে রাখবেন, অন্যরা আপনার ভালো চায় না। দেশে অনিশ্চয়তা দেখা দিলে আমরা সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হব। দেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’
সিলেট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাছরীন আক্তারের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন মন্ত্রীর স্ত্রী সেলিনা মোমেন, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সুজাত আলী রফিক, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. নিজাম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক হিরণ মিয়া, সিলেট জেলা মহিলা সংস্থার সভাপতি হেলেন আক্তার প্রমুখ।