নাটোরে ট্রেনে কাটা পড়ে স্বাস্থ্য পরিদর্শকের মৃত্যু

ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যু
প্রতীকী ছবি

সকালে ছেলেকে কোচিংয়ে পৌঁছায় দিতে বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন সমীর কুন্ডু (৪৫)। এর এক ঘণ্টা পর রেলস্টেশনে তাঁর খণ্ডিত লাশ পাওয়া গেছে। আজ শনিবার সকালে নাটোর রেলস্টেশনে এই ঘটনা ঘটেছে।

নিহত সমীর কুন্ডু শহরের কাফুরিয়া পট্টির তারকেশ্বর কুন্ডুর ছেলে। তিনি সদর উপজেলার হাসসা ইউনিয়নের স্বাস্থ্য পরিদর্শক ছিলেন। তিনি সাবেক ফুটবলার হিসেবেও স্থানীয়ভাবে পরিচিত ছিলেন।

নাটোর রেলস্টেশনের স্টেশনমাস্টার রেজাউল মল্লিক বলেন, আজ সকালে রাজশাহী থেকে চিলাহাটিগামী আন্তনগর তিতুমীর এক্সপ্রেস ট্রেনটি ৭টা ৫৮ মিনিটে নাটোর স্টেশনে পৌঁছায়। যাত্রাবিরতি শেষে ৮টা ২ মিনিটে রেলওয়ে স্টেশন থেকে ট্রেনটি ছেড়ে যায়। এ সময় ট্রেনটি ১ নম্বর প্ল্যাটফর্ম অতিক্রম করে স্টেশন থেকে বেরিয়ে গেলে সেখানে উপস্থিত লোকজন এক ব্যক্তির খণ্ডিত লাশ দেখতে পান। ১ নম্বর প্ল্যাটফর্মের শেষ অংশ থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ওই ব্যক্তি আত্মহত্যা করেছেন।

পরে খবর পেয়ে নাটোর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা লাইনের ওপর থেকে লাশটি উদ্ধার করে প্ল্যাটফর্মে রেখে দেয়। এরপর সান্তাহার জিআরপি থানা–পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে।

সমীরের পরিবারের সদস্যরা বলেন, আজ সকালে শহরের আলাইপুর এলাকায় ছেলেকে কোচিংয়ে পৌঁছে দেওয়ার জন্য সমীর বাড়ি থেকে বের হন। ছেলেকে কোচিংয়ে পৌঁছে দেওয়ার পর তিনি সেখান থেকে চলে আসেন। এরপর পুলিশের মাধ্যমে জানতে পারেন, সমীর কুন্ডু ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে মারা গেছেন। তবে সমীরের বাড়ি থেকে আলাইপুর যাওয়া–আসার পথে রেলস্টেশন পড়ে না। সমীর কেন রেলস্টেশনে গিয়েছিলেন, সেটা কেউ বলতে পারছেন না।

সমীরের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও সাবেক ফুটবল খেলোয়াড় অশোক কুমার বলেন, এটা দুর্ঘটনা না আত্মহত্যা, সেটা বলা যাচ্ছে না। সমীরকে তিনি দীর্ঘদিন ধরে চেনেন এবং একসঙ্গে খেলাধুলা করতেন। তবে সমীর বিষণ্নতা কিংবা সমস্যায় ছিলেন কি না, সেটা তিনি জানেন না।