বাগেরহাটের রামপালে লেপ-তোষক রাখা ট্রাঙ্ক থেকে নীহারিকা হালদার (৭৫) নামের এক বৃদ্ধার অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার সন্ধ্যায় উপজেলার বেতকাঠা গ্রামে নিজ ঘরে তাঁর মরদেহ পাওয়া যায়। তাঁকে গলায় রশি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ।
নীহারিকা হালদার বেতকাঠা গ্রামের প্রয়াত ক্ষিতিশ হালদারের স্ত্রী। সন্তানেরা বাইরে থাকায় তিনি ওই বাড়িতে একাই বসবাস করতেন।
বাগেরহাট জেলা পুলিশের গণমাধ্যম শাখার সমন্বয়কারী পরিদর্শক এস এম আশরাফুল আলম বলেন, নীহারিকা হালদারের ছেলে চাকরিজীবী। তিন মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে। ফলে তাঁরা অন্যত্র থাকেন। দু–তিন দিন ধরে নীহারিকা হালদারের বসবাসের ঘরটি তালাবদ্ধ অবস্থায় দেখতে পান প্রতিবেশীরা। সন্দেহ হলে সোমবার বিকেলে প্রতিবেশীরা নীহারিকার মেজ মেয়ে রাধিকা শিকদারকে খবর দেন। রাধিকা এসে স্থানীয় ব্যক্তিদের সহায়তায় দরজার তালা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করেন। এ সময় তালাবদ্ধ লেপ-তোষকের ট্রাঙ্ক থেকে দুর্গন্ধ পেয়ে তাঁরা পুলিশে খবর দেয়। পরে রামপাল থানার পুলিশ ট্রাঙ্কের তালা ভেঙে নীহারিকা হালদারের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে।
রামপাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ সামসুদ্দীন বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ ওই বৃদ্ধার লাশ উদ্ধার করেছে। আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, তাঁকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।