নিহত শিশু দুটির লাশ বাড়িতে নেওয়ার পর এলাকার লোকজন ভিড় করেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলার হোসেনপুর গ্রামে
নিহত শিশু দুটির লাশ বাড়িতে নেওয়ার পর এলাকার লোকজন ভিড় করেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলার হোসেনপুর গ্রামে

বাবার অটোরিকশায় নানাবাড়ি যাচ্ছিল, বাসচাপায় ২ শিশু নিহত

মাদ্রাসা থেকে বাবার সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে নানার বাড়ি যাচ্ছিল জুনায়েদ হোসেন (১২) ও ফাহিমা আক্তার (৯)। তাদের বাবা অটোরিকশাটি চালাচ্ছিলেন। কিন্তু তাদের আর নানার বাড়ি যাওয়া হয়নি। পথিমধ্যে বাসচাপায় ওই দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় তাদের বাবাসহ অন্তত তিনজন আহত হয়েছেন।

কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কে দেবিদ্বার উপজেলার ছগুরা এলাকায় গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এরপর বিক্ষুব্ধ জনতা অন্তত পাঁচটি বাস ভাঙচুর করেন। ওই ঘটনার পর বাসটি নিয়ে চালক পালিয়ে যান বলে জানিয়েছে হাইওয়ে পুলিশ। গতকাল রাত পৌনে ১১টার দিকে মিরপুর হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) গিয়াস উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

নিহত জুনায়েদ হোসেন ও ফাহিমা আক্তার কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলার জাফরগঞ্জ ইউনিয়নের হোসেনপুর গ্রামের মন্তু মেম্বারবাড়ির বাসিন্দা জাহাঙ্গীর আলমের সন্তান। জুনায়েদ জাফরগঞ্জের শ্রীপুর হাফেজিয়া মাদ্রাসার হিফজ বিভাগে এবং ফাহিমা ছগুরা নূরানী মাদ্রাসার দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ত।

হাইওয়ে পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল রাতে জাহাঙ্গীর আলম তাঁর অটোরিকশায় দুই সন্তানকে মাদ্রাসা থেকে নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে যাচ্ছিলেন। রাত ৯টার দিকে মাদ্রাসার অদূরেই ছগুরা এলাকায় কুমিল্লা থেকে মুরাদনগরের কোম্পানীগঞ্জগামী একটি যাত্রীবাহী বাস অটোরিকশাটিকে চাপা দেয়। ঘটনাস্থলেই শিশু শিক্ষার্থী জুনায়েদ ও ফাহিমা নিহত হয়। এ ঘটনায় জাহাঙ্গীর আলম ও অটোরিকশার যাত্রীসহ অন্তত তিনজন আহত হন। স্থানীয় লোকজন আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে দেবিদ্বার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও কুমিল্লার ময়নামতি এলাকার একটি হাসপাতালে নিয়ে যান।

হাইওয়ে পুলিশের এসআই গিয়াস উদ্দিন বলেন, ‘চাপা দেওয়ার পর সুগন্ধা পরিবহনের যাত্রীবাহী বাসটি পালিয়ে গেছে বলে স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে জানতে পেরেছি। নিহত ব্যক্তিদের মরদেহ তাঁদের স্বজনেরা বাড়িতে নিয়ে গেছেন। উত্তেজিত জনতা কয়েকটি বাস ভাঙচুর করেছেন। এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’