হবিগঞ্জ জেলার পাঁচজন নারী নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার মালিপাড়া এলাকার একটি সড়কে দিনেদুপুরে ছিনতাই করার সময় জনতার হাতে আটক হয়েছেন। তাঁদের বড়াইগ্রাম থানা–পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বেলা একটার দিকে তাঁদের আটক করা হয়।
আটক নারীরা হচ্ছেন হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার বামন গ্রামের মালা খাতুন (৪৭), কুলসুমা বেগম (৪০), মিনা খাতুন (২৮), পারভিন বেগম (৩০) ও নাদিরা আক্তার (২৪)।
বড়াইগ্রাম থানা ও মালিপাড়া এলাকার বাসিন্দাদের সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার বেলা একটার দিকে উপজেলার বনপাড়া পৌর শহরের মালিপাড়া মহল্লার মৃত হাফেজ হিজবুল্লাহর স্ত্রী রহিমা বেগম (৪৯) মালিপাড়া সড়ক দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন। এ সময় পাঁচ নারী তাঁর পিছু পিছু হাঁটতে থাকেন। একপর্যায়ে তিনি মালিপাড়া সড়ক মোড়–সংলগ্ন মহাসড়কের ওপর পৌঁছালে নারীরা তাঁকে ঘিরে ধরে নিজেদের তাঁর আত্মীয় পরিচয় দিয়ে নানা ধরনের কথা বলতে শুরু করেন। এ সময় রহিমা হতচকিত হয়ে আত্মীয়র সূত্র খুঁজতে থাকেন। এর মধ্যে ওই নারী দলের এক সদস্য রহিমার গলা থেকে কৌশলে সোনার চেইন খুলে নেন। রহিমা বিষয়টি বুঝতে পেরে ডাক-চিৎকার শুরু করলে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে ওই পাঁচ নারীকে আটক করেন। পরে তাঁরা নিজেদের নারী ছিনতাইকারী বলে স্বীকার করেন।
খবর পেয়ে বড়াইগ্রাম থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে নারীদের আটক করে থানায় নিয়ে যায়। তাঁদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে। স্থানীয় ব্যবসায়ী আবেদ আলী বলেন, ওই পাঁচ নারী দলবদ্ধভাবে ঘোরাফেরা করতেন। পরিচয় জিজ্ঞাসা করলে এলাকার ভাড়াটে বলে পরিচয় দিতেন।
বনপাড়া শহরের কালিকাপুর মহল্লার বাসিন্দা রানী কোড়াইয়া বলেন, ‘আমিও এই চক্রের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। প্রায় ছয় মাস আগে ব্যাংক থেকে এক লাখ টাকা উঠিয়ে মালিপাড়া সড়ক দিয়ে বাড়িতে ফিরছিলাম। এ সময় ওই চক্র আমাকে ঘিরে ধরে আত্মীয় পরিচয় দিয়ে জটলা সৃষ্টি করেন। একপর্যায়ে তাঁরা টাকাগুলো নিয়ে সটকে পড়েন।’
বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান বলেন, আটক নারী চক্রের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তাঁদের সঙ্গে আরও কারা জড়িত, তা খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে। তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন।