এক নারীকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় বরগুনার আমতলী উপজেলার কুকুয়া ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) গ্রাম আদালতের পেশকারকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার দুপুরে উপজেলার আজিমপুর বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
আহত ব্যক্তির নাম স্বপন হাওলাদার। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় মানুষেরা বলেন, আমতলী উপজেলার কৃষ্ণনগর গ্রামের রেজাউল মিয়া গ্রামের নারীকে উত্ত্যক্ত করছিলেন। ওই নারী বিষয়টি কুকুয়া ইউনিয়ন পরিষদ গ্রাম আদালতের পেশকার স্বপন হাওলাদারকে জানান। স্বপন এ বিষয়ে রেজাউলের সঙ্গে কথা বলেন। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। এতে ক্ষুব্ধ হন রেজাউল।
এ ঘটনার জের ধরে বুধবার দুপুরে রেজাউল ও তাঁর তিন সহযোগী স্বপনকে একা পেয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেন। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে স্বপনের বাঁ হাত, দুই পায়ে পাঁচটি স্থানে গুরুতর জখম হন। তাঁর চিৎকারে লোকজন ছুটে এলে রেজাউল ও তাঁর সহযোগীরা পালিয়ে যান। স্থানীয় ব্যক্তিরা তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখান থেকে তাঁকে বরিশালের শের-ই-বাংলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আহত স্বপন মিয়া বলেন, ‘প্রতিবেশী এক নারীকে রেজাউল উত্ত্যক্ত করতেন। আমি এর প্রতিবাদ করায় সন্ত্রাসী রেজাউল ও তাঁর সহযোগীরা আমাকে কুপিয়েছেন। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।’
কুকুয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. বোরহার উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, তিনি বিষয়টি শুনেছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা কর্মকর্তা তানভীর শাহারিয়ার বলেন, স্বপন হাওলাদারের বাঁ হাত ও দুই পায়ে পাঁচটি স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
আমতলী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আমির সেরনিয়াবাদ বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছেন। হামলায় জড়িত ব্যক্তিদের ধরতে তাঁরা অভিযান চালাচ্ছেন। এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।