টাঙ্গাইলের সখীপুরে হাতীবান্ধা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হওয়ার ৯ দিনের মাথায় শাজাহান খানের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে নিয়েছে আওয়ামী লীগ। দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করায় তাঁকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছিল। আজ বুধবার কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ওই চিঠি ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার হাতীবান্ধা ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাজাহান খানকে ১২ জুলাই সংগঠন থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। ১৭ জুলাই অনুষ্ঠিত নির্বাচনে শাজাহান খান মোটরসাইকেল প্রতীকে ৪ হাজার ৭৩৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রতীকের রনি আহমেদ ৩ হাজার ১৭৯ ভোট পান।
বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাজাহান খানকে ১২ জুলাই সংগঠন থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।
শাজাহান খান তাঁর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের জন্য গতকাল মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় কমিটি বরাবর আবেদন করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে তাঁর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়। বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার–সংক্রান্ত অনুলিপি কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুর রহমান খান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলাম বরাবর পাঠানো হয়েছে।
বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার হওয়ার সংবাদ আজ বুধবার রাত আটটার দিকে ছড়িয়ে পড়লে হাতীবান্ধা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বিজয়ী ইউপি চেয়ারম্যান শাজাহান খান এবং তাঁর অনুসারীরা আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ দেন ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। শাজাহান খান প্রথম আলোকে বলেন, ‘দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগ করেছি। আওয়ামী লীগ করা ছাড়া বাঁচতে পারব না। দল আমাকে ক্ষমা করায় আমি ও আমার অনুসারীরা খুবই আনন্দিত।’
এ ব্যাপারে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য অনুপম শাজাহান বলেন, ‘দুই দিন আগে উপজেলার বড়চওনা ইউপি নির্বাচনে বিজয়ী চেয়ারম্যান আজহারুল ইসলামের বহিষ্কারাদেশও প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের যেকোনো সিদ্ধান্তের ওপর আমাদের শ্রদ্ধা রয়েছে।’