বরিশালে কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহত ব্যক্তিদের স্মরণে শোক মিছিল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বাধায় বের করতে পারেনি বাম গণতান্ত্রিক জোট। পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বেষ্টনীর মধ্যই দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করেন বাম নেতারা।
বাম জোটের নেতারা জানান, কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহত ব্যক্তিদের স্মরণে এবং সরকারের পদত্যাগ দাবিতে সারা দেশে শোক মিছিলের কর্মসূচি দেয় বাম গণতান্ত্রিক জোট ও বাংলাদেশ জাসদ। কর্মসূচিকে ঘিরে বরিশালে আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নগরের ফকিরবাড়ি সড়কে বাম গণতান্ত্রিক জোটের অস্থায়ী কার্যালয়ে জড়ো হন বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতা-কর্মীরা। পরে বেলা ১১টার দিকে তাঁরা মিছিলের প্রস্তুতি নিলে পুলিশ-বিজিবি ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ফকিরবাড়ি রোডে অবস্থান নেয় এবং পুলিশ কর্মসূচিতে বাধা দেয়। ফলে মিছিলের কর্মসূচি পণ্ড হয়ে যায়।
এ সময় বাম নেতারা পুলিশের বাধার মুখে ফকিরবাড়ি সড়কের শিক্ষক সমিতির সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন। বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাম গণতান্ত্রিক জোট বরিশাল জেলা শাখার সমন্বয়ক বাংলাদেশের বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগ বরিশাল মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক শাহ আজিজ খোকন। এ সময় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) বরিশাল জেলা শাখার সভাপতি অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান সেলিম, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) বরিশাল জেলা শাখার সমন্বয়ক মনীষা চক্রবর্তী, বাংলাদেশ জাসদ বরিশাল জেলা শাখার সভাপতি শহিদুল ইসলাম প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা কোটা সংস্কার আন্দোলনে ছাত্র-জনতা হত্যার বিচার ও হত্যার দায় নিয়ে সরকারের পদত্যাগ দাবি জানান এবং নিহত ছাত্র-জনতার স্মরণে বাম গণতান্ত্রিক জোটের শান্তিপূর্ণ শোক মিছিলে বাধাদানের ঘটনাকে নজিরবিহীন উল্লেখ করে এর নিন্দা জানান।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, অগণতান্ত্রিক কারফিউ দিয়ে জনগণের অধিকার অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। তাই অবিলম্বে এই অগণতান্ত্রিক কারফিউ তুলে দিয়ে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে হবে। ইন্টারনেট চালু করতে হবে।
বক্তারা আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে ছাত্র-জনতা হত্যার ঘটনার সুষ্ঠু বিচার করতে হবে এবং সরকারের পদত্যাগ করতে হবে। এই দাবিতে দেশের সব স্তরের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।