কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় নাফ নদীতে বড়শি ফেলে ৩৫ কেজি ওজনের এক জোড়া কোরাল মাছ ধরেছেন এক জেলে। আজ মঙ্গলবার সকালে মাছ দুটি ধরা হয়।
সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপ জালিয়াপাড়া এলাকার জেলে আমির হোসেনের বড়শিতে মাছ দুটি ধরা পড়ে। এর মধ্যে বড় কোরালটির ওজন ১৮ কেজি ও ছোটটি ১৭ কেজি। পরে তিনি মাছ দুটি টেকনাফ পৌরসভার মাছ ব্যবসায়ী নুরুল আলমের কাছে বিক্রি করে দেন।
জেলে আমির হোসেন বলেন, ‘নাফ নদীতে জেলেদের বড়শিতে কোরাল মাছ ধরা পড়ছে। আজ সকালে ৩৫ কেজি ওজনের কোরাল দুটি ৩০ হাজার টাকায় মাছ ব্যবসায়ী নুরুল আলমের কাছে বিক্রি করে দিয়েছি।’
মাছ ব্যবসায়ী নুরুল আলম বলেন, ‘পৌরসভার বাস স্টেশন মাছবাজারে নিয়ে মাছ দুটি প্রতি কেজি ১ হাজার ২০০ টাকা দামে বিক্রি করার জন্য দাম হাঁকানো হয়। পরে প্রতি কেজি ১ হাজার টাকা করে ৩৫ হাজার টাকায় বিক্রি করেছি।’
জেলে আমির হোসেন জানান, ২০১৭ সালের এপ্রিল থেকে নাফ নদীতে নৌকা নিয়ে মাছ ধরা বন্ধ রয়েছে। শাহপরীর দ্বীপ জেটিতে বসে নাফ নদীতে সকালে বড়শি ফেলেন তিনি। প্রায় এক ঘণ্টা পর তিনি বড়শি টেনে তোলার চেষ্টা করেন। কিন্তু বড়শি বেশ ভারী মনে হওয়ায় আরও একজনের সহযোগিতা নেন। পরে বড়শি টেনে তুলে তিনি একটি কোরাল মাছ দেখতে পান। এরপর তিনি আবারও বড়শি ফেলেন। তিনবার এভাবে বড়শি ফেললেও তিনি কোনো মাছ পাননি। কিন্তু চতুর্থবার বড়শি ফেলার পর আরও একটি মাছ আটকা পড়ে। সেটির ওজন ছিল ১৮ কেজির মতো। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে মাছ দুটি দেখতে স্থানীয় লোকজন জেটিতে ভিড় জমান।
জানতে চাইলে টেকনাফ উপজেলার জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, নাফ নদীর কোরাল মাছ খুবই সুস্বাদু। সাধারণত ৩০–৩৫ কেজি ওজনের হয় কোরাল। কখনো কখনো এর চেয়ে বেশি ওজনের পাওয়া যায়। প্রজনন মৌসুমসহ সরকারি বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা মেনে চলায় নাফ নদীতে এখন বড় বড় কোরাল মাছ পাওয়া যাচ্ছে।