বৈরী আবহাওয়ায় কক্সবাজারের সেন্ট মার্টিন থেকে রওনা দেওয়ার পর গন্তব্যের পরিবর্তে আবারও দ্বীপটিতে ফিরে গেছে পর্যটকদের বহনকারী তিনটি জাহাজ। আজ সোমবার বিকেল তিনটায় সেন্ট মার্টিন জেটিঘাট থেকে টেকনাফের উদ্দেশে রওনা দেয় জাহাজগুলো। কিন্তু ঝোড়ো হাওয়ার কারণে পাঁচ মিনিট পর জাহাজগুলো ঘুরিয়ে আবার সেন্ট মার্টিন জেটিঘাটে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে গতকাল রোববার দ্বীপটিতে আটকে পড়া প্রায় দেড় হাজার পর্যটক জাহাজগুলোয় ছিলেন।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামরুজ্জামান প্রথম আলোকে জানান, ঝোড়ো বাতাসের কারণে সাগর খুবই উত্তাল থাকায় তিনটি জাহাজকে সেন্ট মার্টিনে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। সন্ধ্যার আগে আবহাওয়া পরিস্থিতির উন্নতি হলে সেগুলোকে আবার ছাড়ার অনুমতি দেওয়া হবে। অন্যথায় পর্যটকদের দ্বীপে অবস্থান করতে হবে।
ঝড়ের আশঙ্কায় গতকাল রোববার সকালে টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন নৌপথে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। এতে সেন্ট মার্টিনে আটকে পড়েন প্রায় দেড় হাজার পর্যটক। এক দিন পর আজ সোমবার সকালে আবহাওয়ার কিছুটা উন্নতি হলে টেকনাফের দমদমিয়ার বিআইডব্লিউটিএ জেটিঘাট থেকে কেয়ারি সিন্দাবাদ, এমভি রাজহংস ও এমভি বার আউলিয়া নামের তিনটি জাহাজকে সেন্ট মার্টিনে পর্যটক নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেয় স্থানীয় প্রশাসন। প্রায় ২৫০ যাত্রী নিয়ে জাহাজ তিনটি দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সেন্ট মার্টিন জেটিঘাটে গিয়ে পৌঁছায়। আগের দিন আটকে পড়া পর্যটকদের নিয়ে বেলা তিনটায় জাহাজ তিনটি টেকনাফের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) টেকনাফের ট্রাফিক সুপারভাইজার জহির উদ্দিন ভূঁইয়া প্রথম আলোকে বলেন, পর্যটকদের নিরাপত্তার স্বার্থেই তিনটি জাহাজকে ফিরে যেতে বলা হয়। আবহাওয়া বিবেচনায় জাহাজ চালানোর অনুমতি পাওয়া গেলে মাইকিং করে সব পর্যটককে নিয়ে আসা হবে। সকালে যেসব পর্যটক গেছেন, তাঁদেরও ফিরতে হবে।