লুট করা বিপুল পরিমাণ মাছ, জাল; ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত অস্ত্রসহ ৬ ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১৫-এর একটি দল। গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে কক্সবাজারের বাঁকখালী নদীর মোহনা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা চিহ্নিত জলদস্যু। তাঁরা সাগরে লুটপাট, অপহরণসহ নানা অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে র্যাবের দাবি।
গ্রেপ্তার ছয়জন হলেন কক্সবাজারের কুতুবদিয়া লেমশিখালীর মাহমুদ উল্লাহের ছেলে ও ডাকাত দলের প্রধান (সরদার) মো. বাদশা (২৭), একই ইউনিয়নের মুসালিয় শিকদারপাড়ার রহিম উল্লাহের ছেলে মো. মারুফুল ইসলাম (২২), কুতুবদিয়া দক্ষিণ ধুরুং জুলেখাবিবির পাড়ার মো. ইসমাইলের ছেলে রায়হান উদ্দিন (২২), একই ইউনিয়নের পেচারপাড়ার মৃত কবির আহমদের ছেলে এরশাদুল ইসলাম (২০), একই ইউনিয়নের সাহারুম শিকদারপাড়ার মো. ইউনুছের ছেলে মো. রাফি (১৯) ও চট্টগ্রামের ইপিজেড নারিকেলতলার মো. আবু বক্করের ছেলে মো. আল-আমিন (২৫)।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের কাছ থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত ৩টি দেশে তৈরি এলজি, ১৪টি কার্তুজ, ৩টি ধারালো দা, ২টি স্মার্টফোন এবং ৮টি বাটন ফোন উদ্ধার করা হয়। এ সময় লুট করা বিপুল পরিমাণ মাছ ও জাল উদ্ধার করা হয়েছে।
কক্সবাজার র্যাব-১৫-এর জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক (ল অ্যান্ড মিডিয়া) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আবু সালাম চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, জলদস্যুরা নদী, সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়া জেলেদের জাল, মাছ, টাকাপয়সা ইত্যাদি লুট করছেন নিয়মিত। ফলে সাগরে গিয়ে জেলেদের জন্য রীতিমতো আতঙ্কিত থাকতে হয়। এ কারণে র্যাব জলদস্যুদের ধরতে অভিযান চালায়।
র্যাব সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে বঙ্গোপসাগরের বাঁকখালী নদীর মোহনায় একটি ইঞ্জিনচালিত ট্রলারকে সন্দেহ হলে র্যাবের দল ট্রলারটির গতি রোধের চেষ্টা করে। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি শুরু হয়। পরে একপর্যায়ে ডাকাত দলের সদস্যরা আত্মসমর্পণ করেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আবু সালাম চৌধুরী জানান, গ্রেপ্তার মো. বাদশা একজন জলদস্যু সরদার। বাদশার নেতৃত্বে দলটি দীর্ঘদিন ধরে জলদস্যুতাসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড ঘটিয়ে আসছে। গ্রেপ্তার ও পলাতক জলদস্যুদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।