বরিশালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষে আওয়ামী লীগের এক নেতা নিহত হয়েছেন। তাঁর নাম টুটুল চৌধুরী (৬০)। তিনি বরিশাল মহানগরীর ১২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি।
আজ রোববার বেলা দুইটার দিকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক টুটুল চৌধুরীকে মৃত ঘোষণা করেন। শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপপরিচালক (প্রশাসন) মো. মনিরুজ্জামান আজ বিকেলে প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, হাসপাতালে আনার আগেই তিনি মারা গেছেন।
হাসপাতালের চিকিৎসকেরা বলেন, নিহত টুটুলের মাথায় ধারালো অস্ত্রের আঘাত আছে। আর আঘাতগুলো এমনভাবে করা হয়েছে যে মাথার খুলির ভেতরে থাকা অনেক কিছুই বাইরে বের হয়ে গেছে। রক্তক্ষরণ ও মাথায় আঘাতের কারণেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
নিহত টুটুল চৌধুরী বরিশাল মহানগরের ১২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি বলে জানিয়েছেন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক শেখ দিপু।
স্থানীয় লোকজন ও নিহতের স্বজনেরা বলেন, আজ দুপুরে নগরের করিম কুটির এলাকায় আন্দোলনকারীরা আকস্মিক হামলা চালান। এ সময় সেখানে থাকা আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ হয়। পরে আওয়ামী লীগ নেতা টুটুলকে কুপিয়ে ও ইট দিয়ে আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করা হয়। পরে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নগরের সদর রোডের অশ্বিনী কুমার হলের পাশে মহানগর বিএনপির কার্যালয়ে আগুন দেন আওয়ামী লীগের বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা। নিচতলায় ও দোতালার কক্ষে আগুন দেওয়ার পর স্থানীয় লোকজন দরজা ভেঙে আগুন নিভিয়ে ফেলেন। এ সময় কার্যালয়ের সামনে থাকা দুটি মোটরসাইকেলেও অগ্নিসংযোগ করা হয়।
নগরের সদর রোডে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা আজ সকাল থেকে অবস্থান নিয়েছেন। সদর রোডে যান চলাচল করছে না। দোকানপাটও বন্ধ আছে। অন্যদিকে নগরের সিঅ্যান্ডবি রোডে অবস্থান নিয়েছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।