রংপুরে তিস্তার পানি কিছুটা কমলেও এখনো বিপৎসীমার ওপরে

রংপুরে নদ–নদীর পানি কিছুটা কমেছে। গতকাল শনিবার রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার তিস্তা রেলসেতু এলাকায়
ছবি: প্রথম আলো

ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে রংপুরের বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বাড়া-কমার মধ্যে রয়েছে। আজ রোববার সকাল নয়টায় তিস্তা নদীর পানি কাউনিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গতকাল এই পানি বিপৎসীমার ৪১ সেন্টিমিটার ওপরে ছিল।

গত ২৪ ঘণ্টায় রংপুরের কাউনিয়া পয়েন্টে ৫৬ মিলিমিটার এবং লালমনিরহাটের ডালিয়া পয়েন্টে ২৩ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। রংপুরের আকাশে মেঘ রয়েছে। থেমে থেমে হালকা বৃষ্টিও হচ্ছে। জেলার কাউনিয়া ও গঙ্গাচড়া উপজেলার নিম্নাঞ্চলে গতকাল শনিবার অধিকাংশ মানুষের বাড়িঘরে পানি উঠলেও আজ কিছুটা কমেছে। তবে নদীর তীরবর্তী মানুষের দুর্ভোগ কমেনি।

আজ রোববার সকাল ৯টায় পানি উন্নয়ন বোর্ড রংপুর কার্যালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তিস্তা নদীর রংপুরের কাউনিয়া পয়েন্টে এখনো পানি বিপৎসীমার ৩০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে গতকাল পানি বিপৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও আজ রোববার বিপৎসীমার ৪১ সেন্টিমিটার নিচে নেমে এসেছে।

তিস্তা নদীর পানি বাড়ায় নিম্নাঞ্চলের অনেক বাড়িঘরে পানি ওঠে। গতকাল শনিবার সকালে রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার ইচলি এলাকায়

পানি উন্নয়ন বোর্ডের এক বার্তায় আরও বলা হয়েছে, উজানে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির কারণে এ অঞ্চলের তিস্তা, ধরলা, দুধকুমার, ব্রহ্মপুত্র নদ-নদী পানি বেড়ে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে।

তিস্তা নদীর তীরবর্তী রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার পাঁচ ইউনিয়নের চরাঞ্চলের মানুষজনের দুর্ভোগ কমেনি। আজ রোববার সকালে কাউনিয়া ও গঙ্গাচড়া উপজেলার নদীপারের বাসিন্দারা জানান, তিস্তার পানি গতকাল বাড়লেও রোববার পানি কিছুটা কমেছে। তবে আবারও পানি বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। লক্ষ্মীটারি ইউনিয়নের কেল্লাপাড় ও ইছলি এলাকায় বাড়িঘরে পানি উঠলেও তা নামতে শুরু করেছে।

লক্ষ্মীটারি ইউনিয়নের ইছলি এলাকার কৃষক যতীশ চন্দ্র বলেন, ‘গত এ সপ্তাহে বাড়িতে দুইবার পানি উঠেছে। নদীর পানি এই বাড়ে, এই কমে। এতে করে কষ্টটা বেশি হচ্ছে।’
লক্ষ্মীটারি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবদুল্লাহেল হাদী বলেন, এবার কয়েক দফা উজান থেকে পাহাড়ি ঢল নেমে আসায় নদীর তীরবর্তী মানুষের কষ্ট হয়েছে। নদীর পানি সকালে কমলেও আবার রাতে বাড়ে। তার ওপর আকাশে মেঘ। থেমে থেমে বৃষ্টিও হচ্ছে। বলাও যায় না যে পানি কখন বাড়বে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড রংপুর কার্যালয়ের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আহসান হাবিব বলেন, লালমনিরহাটের ডালিয়া পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার নিচে নেমে গেলেও রংপুরের কাউনিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপরে রয়েছে। বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বাড়া-কমার মধ্যে রয়েছে।