প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর সাক্ষাৎ একটি রাজনৈতিক কৌশল বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে টাঙ্গাইলের বাসাইলে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
টাঙ্গাইল-৮ (বাসাইল-সখীপুর) আসনের সংসদ সদস্য জোয়াহেরুল ইসলাম পুনরায় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ায় তাঁকে সংবর্ধনা দেয় বাসাইল উপজেলা আওয়ামী লীগ। ওই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসে কৃষিমন্ত্রী সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর একটি ঐতিহাসিক ভূমিকা আছে। এ জন্য আমরা টাঙ্গাইলের মানুষ তাঁকে নিয়ে গর্ব, অহংকার করি। রাজনীতিতে নানা ভুলভ্রান্তি হতেই পারে, চিন্তা-চেতনায় দ্বিধাবিভক্তি আসতে পারে। কাজেই একজন রাজনৈতিক নেতা হিসেবে, একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তিনি দেখা করতেই পারেন। দেখা করার অর্থ এমন নয় যে তিনি কালই আওয়ামী লীগে চলে আসবেন। এটা রাজনৈতিক কৌশল। আপনাদের অপেক্ষা করতে হবে। রাজনৈতিক নীতির আলোকেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিদ্ধান্ত নেবেন। এটা নিয়ে এত ভাবনার কারণ আছে বলে আমি মনে করি না।’
আব্দুর রাজ্জাক বলেন, দুঃখজনক হলেও সত্য, বিএনপি মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী শক্তি জামায়াতকে নিয়ে একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায়। তারা বলেছিল ১০ ডিসেম্বর সরকারের পতন ঘটিয়ে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে দেশ পরিচালনা করবে। এতে তারা ব্যর্থ হয়ে ৩০ তারিখে গণমিছিল করবে। এতেও তারা ব্যর্থ হবে। অথচ প্রধানমন্ত্রীর দয়ায় খালেদা জিয়া জেলখানা থেকে নিজ বাড়িতে রয়েছেন।
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘তিনি (খালেদা জিয়া) অতীতেও বারবার বাড়িঘর, দোকানপাটে আগুন দিয়ে জীবন্ত মানুষ পোড়ানোর মতো বীভৎস কাজ করেছেন। হরতাল-অবরোধের নামে কী নরপৈশাচিক কর্মকাণ্ড তারা করেছে। আবার তারা সেই ধরনের একটি পরিস্থিতি তৈরি করতে চায়। এমন পৈশাচিক ঘটনা বাংলাদেশে আমরা আর ঘটাতে দেব না। রাজনৈতিকভাবে আমরা মোকাবিলা করব। আন্দোলন করে বৈধ নির্বাচিত সরকারের পতন ঘটাতে পারবে না। নির্বাচনের মাধ্যমেই সরকারের পতন ঘটাতে হবে।’
বাসাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মতিয়ার রহমান গাউসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলাম, সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ওরফে ছোট মনির, টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র এস এম সিরাজুল হক, জাতীয় শ্রমিক লীগের সাবেক সভাপতি আব্দুস সালাম খান, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সুভাস চন্দ্র সাহা, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুজ্জামান, অর্থ মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব আমিন শরিফ সুপন, বাসাইল পৌরসভার মেয়র আব্দুর রহিম আহমেদ প্রমুখ।