ছবি: প্রথম আলোনওগাঁ-১ (নিয়ামতপুর, পোরশা ও সাপাহার) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনী ক্যাম্প ভাঙচুর ও কর্মীদের মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ শুক্রবার বেলা তিনটার দিকে খালেকুজ্জামান পোরশা উপজেলার তাঁতিপাড়া মোড়ে নিজ নির্বাচনী ক্যাম্পে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন।
নিয়ামতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও স্বতন্ত্র প্রার্থী খালেকুজ্জামান আসনটিতে ট্রাক প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এই আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
সংবাদ সম্মেলনে খালেকুজ্জামান বলেন, তাঁতিপাড়া মোড়ে তাঁর নির্বাচনী ক্যাম্প রয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত আটটার দিকে নৌকা প্রার্থীর সমর্থকেরা দুটি ভটভটি নিয়ে এসে ওই ক্যাম্পের বাইরে লাগানো ব্যানার-ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলেন এবং ভাঙচুর করেন। এ সময় বাধা দিতে গেলে নিজের সমর্থক হিসেবে পরিচিত খাইরুল ইসলাম, নুরুল ইসলাম ও জাহাঙ্গীর আলমকে মারপিট করেন অভিযোগ খালেকুজ্জামানের।
ওই স্বতন্ত্র প্রার্থী জানান, এ ঘটনায় আজ সকালে পোরশা থানায় ভুক্তভোগী খায়রুল ইসলাম আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সমর্থক হামলাকারী ব্যক্তিদের নাম উল্লেখ করে লিখিত অভিযোগ করলেও পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে খাইরুল ইসলাম বলেন, ‘গতকাল রাত আটটার দিকে আমিসহ আরও কয়েকজন ট্রাক প্রতীকের নির্বাচনী ক্যাম্পে বসেছিলাম। এ সময় খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারের সমর্থক আজগর আলী, আবদুল করিমসহ ১৪-১৫ জন যুবক ভটভটিতে করে এসে আমাদের ক্যাম্পের বাইরে লাগানো ট্রাক প্রতীকের ব্যানার-ফেস্টুন ছিঁড়তে শুরু করেন। তাঁরা আমাদের ক্যাম্পও ভাঙচুর করেন। এ সময় বাধা দিতে গেলে আমাকেসহ সেখানে থাকা ট্রাক প্রতীকের সমর্থকদের মারধর করেন।’
স্বতন্ত্র প্রার্থীর অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে পোরশা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন শাহ্ বলেন, ‘নৌকার সমর্থকেরা সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণভাবে প্রচার চালাচ্ছে। স্বতন্ত্র প্রার্থী তাঁর নির্বাচনী ক্যাম্প ভাঙচুর ও কর্মীদের মারধরের যে অভিযোগ করেছেন, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। উল্টো গতকাল রাতে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকেরাই তাঁতিপাড়া মোড়ে ভটভটিতে চড়ে যাওয়ার সময় আমাদের কর্মীদের মারধর করেন। ঘাটনগরে নৌকার প্রতীকের একটি নির্বাচনী ক্যাম্প আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে।’
এ বিষয়ে পোরশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিয়ার রহমান বলেন, গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার ঘাটনগর এলাকায় আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে মারামারির ঘটনায় দুই পক্ষই থানায় লিখিত অভিযোগ করেছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। সত্যতা থাকলে যাঁরা দায়ী, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।