ষষ্ঠবার পেছাল সুদীপ্ত বিশ্বাস হত্যার অভিযোগ গঠন: ‘বারবার এসে ফিরে যাই, কবে বিচার শুরু হবে জানি না’

নিহত ছাত্রলীগ নেতা সুদীপ্ত বিশ্বাস। ছবি: সংগৃহীত
নিহত ছাত্রলীগ নেতা সুদীপ্ত বিশ্বাস। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামে ছাত্রলীগ নেতা সুদীপ্ত বিশ্বাস হত্যা মামলায় আওয়ামী লীগ নেতা দিদারুল আলমসহ ২৪ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের  ষষ্ঠবারের মতো পিছিয়েছে। আজ মঙ্গলবার দ্বিতীয় অতিরিক্ত চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আমিরুল ইসলামের আদালতে এই মামলার অভিযোগ গঠনের দিন ধার্য ছিল।

এর আগে ১৮ জুলাই ও ২০ জুন আসামিপক্ষ সময় প্রার্থনা করায়, ২৬ মার্চ এক আসামি হাজির না থাকায়, ২২ মার্চ বিচারক ছুটিতে থাকায় এবং ১৯ জানুয়ারি আসামিরা সময়ের আবেদন করায় মোট ছয় দফা অভিযোগ গঠন পিছিয়ে যায়। অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে আসামিদের আনুষ্ঠানিক বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হয় থাকে।

মামলার বাদী সুদীপ্তর বাবা অবসরপ্রাপ্ত স্কুলশিক্ষক মেঘনাথ বিশ্বাস মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বদলির দাবি জানিয়েছেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘বারবার এসে ফিরে যাই। কবে বিচার শুরু হবে জানি না।’

চট্টগ্রাম মহানগর সরকারি কৌঁসুলি মো. ফখরুদ্দিন চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, মামলায় ২৪ আসামির মধ্যে ২৩ জন জামিনে আছেন। শুধু এক আসামি কারাগারে। আজ ধার্য দিনে সব আসামি আদালতে হাজির ছিলেন। আসামি দিদারুল আলমসহ সাত আসামি বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি হয়। বাকি আসামিরা শুনানি করতে সময়ের আবেদন করেন। সব আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করতে শুনানি শেষ না হওয়ায় অভিযোগ গঠন করা যায়নি। আগামী ৩ অক্টোবর পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন আদালত।
২০১৭ সালের ৬ অক্টোবর নগরের নালাপাড়া এলাকায় বাসা থেকে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয় নগর ছাত্রলীগের সহসম্পাদক সুদীপ্ত বিশ্বাসকে। ফেসবুকে লেখালেখির জেরে দলীয় কোন্দলের কারণে তাঁকে খুন করা হয় বলে তদন্তে উঠে আসে।

সুদীপ্তর বাবার করা মামলায় গত বছরের ১ ফেব্রুয়ারি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ২৪ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়।

অভিযোগপত্রে নগরের লালখান বাজার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলম ওরফে মাসুমকে হত্যার নির্দেশদাতা ও আইনুল কাদেরকে নেতৃত্বদানকারী বলা হয়। তবে দিদারুল এ অভিযোগ শুরু থেকেই অস্বীকার করে আসছেন।