আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় মৃণাল কান্তিকে কারণ দর্শানোর নির্দেশ

মুন্সিগঞ্জ-৩ আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী মৃণালকান্তি দাস আচরণবিধি লঙ্ঘন করে নেতা–কর্মীদের নিয়ে আনন্দমিছিল ও সভা করেন। গত সোমবার বিকেলে মুন্সিগঞ্জ শহরের সুপার মার্কেট এলাকায়
ছবি: প্রথম আলো

নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে সভা–সমাবেশ ও মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা করে যানবাহন এবং পথচারীদের চলাচলে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করায় মুন্সিগঞ্জ-৩ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী মৃণাল কান্তি দাসকে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে আসনটির নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান এবং মুন্সিগঞ্জ যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ আদালত-২–এর বিচারক ফাহমিদা খাতুন লিখিতভাবে এ নির্দেশ দেন।

কারণ দর্শানোর বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা যায়, মৃণাল কান্তি দাস দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদীয় আসন নম্বর ১৭৩ মুন্সিগঞ্জ-৩–এর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী। তিনি ২৭ নভেম্বর মুন্সিগঞ্জ শহরের গোলচত্বর এলাকায় সভা–সমাবেশ করেন। মোটরসাইকেল ব্যবহার করে শোভাযাত্রা করেন। এ সময় শত শত নেতা–কর্মী সুপার মার্কেট এলাকায় জড়ো হন। এতে মুন্সিগঞ্জ শহরের থানা সড়ক, হাসপাতাল সড়ক ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা কার্যালয় সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়। ওই এলাকায় প্রায় এক ঘণ্টা স্বাভাবিকভাবে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে।

এ বিষয়ে সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নাজমুল হাসান নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির কার্যালয়ে মৃণাল কান্তি দাসের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন। বিজ্ঞপ্তিতে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান আরও বলেন, প্রাপ্ত অভিযোগের ভিত্তিতে এবং পত্রিকায় প্রকাশিত তথ্য বিশ্লেষণে পরিলক্ষিত হয়েছে, মৃণাল কান্তি দাস রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০০৮–এর বিধি ৬ (ঘ) ও ৮ (ক)–এর বিধান এবং ১২–এর বিধান লঙ্ঘন করেছেন। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে কেন বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের নিকট প্রেরণ করা হবে না, সেটি ২ ডিসেম্বর শনিবার বেলা ১১টার মধ্যে কমিটির অস্থায়ী কার্যালয় মুন্সিগঞ্জ যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ, দ্বিতীয় আদালতে ব্যক্তিগতভাবে হাজির হয়ে লিখিত ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো।

আসনটির টানা দুবারের সংসদ সদস্য মৃণাল কান্তি এবারও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন। নৌকার মনোনয়ন পাওয়ার পর গত সোমবার বিকেলে ঢাকা থেকে মুন্সিগঞ্জে আসেন মৃণাল কান্তি দাস। তাঁর আসার খবরে দুপুরে আগে থেকেই জেলা শহরের নেতা-কর্মী ও সমর্থকেরা পথে পথে ফুলের মালা, ফুলের নৌকা নিয়ে জড়ো হন।

ওই দিন বিকেলে সংসদ সদস্য মুন্সিগঞ্জ সদর এলাকায় প্রবেশ করেন। সে সময় সিপাহিপাড়া এলাকার প্রধান সড়ক হয়ে একটি মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা করে ছাত্রলীগ ও যুবলীগ। বিকেল পাঁচটায় মৃণাল কান্তি দাস শহরের সুপার মার্কেট গোলচত্বর এলাকায় আসেন। ‘নৌকা নৌকা, মৃণালদার নৌকা’ বলে মিছিল নিয়ে শত শত নেতা-কর্মী সুপার মার্কেট এলাকায় জড়ো হন। এতে মুন্সিগঞ্জ শহরের থানা সড়ক, হাসপাতাল সড়ক ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা কার্যালয় সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়।