ঝিনাইদহের শৈলকুপা থানা ঘেরাও করে ইটপাটকেল নিক্ষেপের অভিযোগে আওয়ামী লীগের পাঁচ শতাধিক নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। গতকাল রোববার রাতে শৈলকুপা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) লাল্টু রহমান বাদী হয়ে মামলাটি করেন। এতে ১১৫ জনের নাম উল্লেখ করে আরও ৪০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, মামলায় এখন পর্যন্ত তারা ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। তাঁদের ইতিমধ্যে আদালতে পাঠানো হয়েছে। বাকি ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।
পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শৈলকুপা উপজেলার ধলহরাচন্দ্র ইউনিয়নের মোস্তাক সিকদার নামের এক আওয়ামী লীগের কর্মীকে আটকের প্রতিবাদে গতকাল বিকেলে আওয়ামী লীগের কর্মীরা থানা ঘেরাও করেন। এ সময় তাঁরা উত্তেজিত হয়ে থানায় ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। পরে পুলিশের সঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এ ঘটনায় পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ১৫ জন আহত হন। ঘটনার সময় আত্মরক্ষার্থে পুলিশ রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। প্রায় আধা ঘণ্টা ধরে চলে সংঘর্ষ। এতে গুলিবিদ্ধ হন বেশ কয়েকজন। আহত ব্যক্তিরা ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে পুলিশ কনস্টেবল আবদুস সালামের অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে ঢাকার একটি হাসপাতালে আনা হয়েছে।
এদিকে আজ সোমবার সকাল থেকেই শৈলকুপা শহরে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের তেমন একটা দেখা যায়নি। পুলিশের করা মামলার আসামির তালিকায় কার নাম আছে, এই নিয়ে আতঙ্কে আছেন নেতা-কর্মীরা। এলাকায় বর্তমানে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। উপজেলাজুড়ে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। গ্রেপ্তার এড়াতে অনেকেই বাড়িতে থাকছেন না।
ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমরান জাকারিয়া বলেন, যাঁরা থানায় আক্রমণ করেছেন, তাঁদের আইনের আওতায় আনা হবে। ভিডিও ফুটেজ দেখে আসামি শনাক্ত করা হচ্ছে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল হাকিম বলেন, ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। এই ঘটনায় দলের বদনাম হয়েছে। যাঁরা এই ঘটনা ঘটিয়েছেন, তাঁরা একজন নেতার সমর্থক।