পিরোজপুরের কাউখালীতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় মেহেদী হাসান শিকদার (২২) নামে এক কলেজছাত্র নিহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার নেছারাবাদ উপজেলার রোঙ্গাকাঠি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় মেহেদীকে উদ্ধার করে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়।
মেহেদী হাসান কাউখালী উপজেলার হোগলা গ্রামের কামরুল শিকদারের ছেলে। তিনি কাউখালী সরকারি কলেজের স্নাতক (সম্মান) দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। আজ শনিবার সকালে বাড়ির পাশে হোগলা ইবতেদায়ি ফোরকানিয়া মাদ্রাসা ঈদগাহে মেহেদির ঈদের নামাজ পড়ার কথা ছিল। সকালে সেই ঈদগাহে মেহেদির জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এ দুর্ঘটনায় মেহেদীর বন্ধু শাওন গুরুতর আহত হয়েছেন। তিনি বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
পুলিশ ও পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল বিকেলে মেহেদি নিজের মোটরসাইকেল নিয়ে বের হন। এরপর তাঁরা তিনটি মোটরসাইকেলে কয়েকজন বন্ধু নেছারাবাদ উপজেলার রোঙ্গাকাঠি গ্রামে যাচ্ছিলেন। রোঙ্গাকাঠি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এলাকা অতিক্রমের সময় মেহেদী নিয়ন্ত্রণ হারালে মোটরসাইকেলটি সড়কের পাশের পড়ে যায়। এতে মেহেদী ও তাঁর বন্ধু শাওন আহত হন। পরে স্থানীয় লোকজন আহত দুজনকে উদ্ধার করে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিতে গেলে পথে মেহেদীর মৃত্যু হয়।
এদিকে প্রথমে শাওনকে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তাঁকে উন্নত চিকিৎসার আজ সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
মেহেদীর মামাতো ভাই বেতকা গোয়ালতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আবু হানিফ বলেন, মেহেদী ঈদ উপলক্ষে তাঁর বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করতে বেরিয়েছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে পরিবারটির ঈদের আনন্দ মাটি হয়ে গেছে। আজ বাড়ির পাশের ঈদগাহে মেহেদীর ঈদের নামাজ পড়ার কথা ছিল। সেখানেই ঈদের নামাজের পর তাঁর জানাজা হয়েছে।
কাউখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাকারিয়া প্রথম আলোকে বলেন, নিহত মেহেদীর পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়াই স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।