রাজশাহী মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক বজলুল হককে ছুরিকাঘাতের ঘটনায় দলটির দুই নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ এনে রাজশাহী মহানগর বিএনপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এরশাদ আলী ও সাধারণ সম্পাদক মামুন অর রশিদের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল মঙ্গলবার তাঁদের বহিষ্কার করা হয়।
বহিষ্কৃত নেতারা হলেন রাজশাহী মহানগর বিএনপির ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সভাপতি আবদুস সাত্তার ও মহানগর যুবদলের সদস্য বিপ্লব রহমান।
বহিষ্কারাদেশে বলা হয়েছে, গত ২১ নভেম্বর দুপুরে নগরের ভদ্রার মোড় এলাকায় রাজশাহী মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. বজলুল হক মন্টুর পেটে ছুরিকাঘাত করা হয়। সেই সঙ্গে তাঁর মাথায় শাবল দিয়ে আঘাত করে গুরুতর আহত করা হয়। এতে জড়িত থাকায় ২৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি আবদুস সাত্তার ও রাজশাহী মহানগর যুবদলের সদস্য বিপ্লব রহমান নাঈমকে মহানগর বিএনপির সব ইউনিট থেকে বহিষ্কার করা হলো।
ওই ঘটনার পর আহত বজলুল হককে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তিনি শঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। হাসপাতালটির জরুরি বিভাগের ইনচার্জ শংকর কে বিশ্বাস প্রথম আলোকে জানিয়েছিলেন, বজলুল হকের পেটে ও কপালে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন ছিল।
বহিষ্কারাদেশের বিষয়ে রাজশাহী মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ আলী আজ বুধবার সকালে বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েই তাঁদের বহিষ্কার করা হয়েছে। আহত বজলুল হক থানায় মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন। কয়েক দিন আগেই হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন তিনি। তবে এখনো পুরোপুরিভাবে সেরে ওঠেননি।
এদিকে অভিযুক্ত নেতা আবদুস সাত্তার জানিয়েছেন, তিনি বহিষ্কারাদেশের কোনো কাগজ হাতে পাননি। তাঁর দাবি, ঘটনাস্থলে তিনি ছিলেন না, অথচ তাঁকে এ ঘটনায় জড়ানো হয়েছে। অন্যদিকে ভুক্তভোগী বিএনপি নেতা বজলুল হকের সঙ্গে আজ সকালে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।