রংতুলি দিয়ে আপন মনে ‘গ্রাফিতি’ আঁকছে প্রদীপণ মাধ্যমিক বিদ্যাপীঠের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী আলমিম আফরিন। পেনসিল স্কেচ শেষে মনের মাধুরী মিশিয়ে রং লাগাচ্ছে। রংতুলির পরশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই নায়ক আবু সাঈদ ও মুগ্ধর বীরত্বগাথা ফুটিয়ে তোলে সাত বছরের এই শিশু। যার ছবিতে মুগ্ধ বিচারক-আয়োজকদের সবাই।
শুধু শিশু আফরিন নয়; বিভিন্ন বয়সী অর্ধশতাধিক শিশুর অংশগ্রহণে আজ শুক্রবার চুয়াডাঙ্গার জালাল আর্ট স্কুলে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হলো শিশুদের গ্রাফিতি আঁকা প্রতিযোগিতা।
প্রথম আলোর ২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে প্রথম আলো বন্ধুসভার চুয়াডাঙ্গার বন্ধুদের পক্ষ থেকে এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। প্রতিযোগিতায় তিনটি শাখায় ৫ আগস্ট–পরবর্তী সময়ে দেয়ালে দেয়ালে দেখা গ্রাফিতি নিখুঁতভাবে নিজেদের ক্যানভাসে ফুটিয়ে তোলে শিশুরা।
আয়োজনে অংশ নিতে পেরে অন্যান্যের মতোই উৎফুল্ল চুয়াডাঙ্গা সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী আফিয়া আক্তার। আফিয়া বলে, জুলাই-আগস্টের বিপ্লব ঘিরে বড় ভাই-আপুরা যখন দেয়ালে দেয়ালে গ্রাফিতি আঁকতেন, তখন তাদেরও ইচ্ছা জাগত। দেয়ালে আঁকার সুযোগ না মিললেও প্রথম আলোর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ক্যানভাসে গ্রাফিতি আঁকার সুযোগ করে দিয়েছে। এতে সে ও তার বন্ধুরা সবাই খুশি।
অভিভাবক আশরাফুন্নেছা ফ্লোরা প্রথম আলোর সংশ্লিষ্ট সবাইকে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, ‘গত বছর প্রথম আলো আয়োজিত চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় আমার মেয়ে অংশ নিয়েছিল। বিষয় ছিল উন্মুক্ত। এবার জুলাই-আগস্টের আন্দোলন নিয়ে গ্রাফিতি আঁকা প্রতিযোগিতার আয়োজন করায় ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’
আরেক অভিভাবক উম্মে সালমার ভাষ্যমতে, এ ধরনের আয়োজন শিশু-কিশোরদের সংগ্রাম ও দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করবে। ভবিষ্যতেও এমন আয়োজন রাখার দাবি জানান তিনি।
প্রথম আলো বন্ধুসভার চুয়াডাঙ্গার সভাপতি ও চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের ইতিহাস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, জুলাই-আগস্টের বিপ্লবকে কেন্দ্র করে সারা দেশের তরুণ প্রজন্মের মধ্যে গ্রাফিতি যথেষ্ট জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। তাই প্রথম আলোর এবারের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে গ্রাফিতি আঁকার আয়োজন করেন। শিশুরাও খুব উৎসাহ ভরে নিজেদের ক্যানভাসে গ্রাফিতি এঁকেছে।