সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরে ভারতীয় ট্রাকচালক ও খালাসিদের মারধরের জের ধরে আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে বন্দরে সব ধরনের আমদানি ও রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ আছে।
গতকাল সোমবার রাতে ভোমরা স্থলবন্দর এলাকায় স্থানীয় সাদাম হোসেনের নেতৃত্বে ভারতীয় ট্রাকচালক ও খালাসিদের মারপিট করা হয়। এ সময় কয়েকটি ট্রাক ভাঙচুর করা হয় এবং সাতজন ভারতীয় ট্রাকচালক ও খালাসি এতে আহত হন।
আহত ব্যক্তিরা হলেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বশিরহাট মহকুমার ঘোজাডাঙ্গা গ্রামের ট্রাকচালক বাবলু সরদার, লাকুদাহ গ্রামের মৃত্যুঞ্জয় দাশ, শহিদুল সরদার, রাজু সরদার এবং খালাসি প্রবীর সরদার, জহিরুল ও সত্য মণ্ডল।
ভোমরা সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মাকসুদ খান বিষয়টি নিশ্চিত করে প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল রাতে ট্রাকচালকদের মারপিটের অভিযোগ এনে ভারতীয় ট্রাকচালক ও খালাসিরা ধর্মঘট করছেন। এ নিয়ে দুই দেশের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন ও শ্রমিকনেতাদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। দ্রুত বিষয়টি নিষ্পত্তি করে আমদানি ও রপ্তানি কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব হবে। তিনি আরও বলেন, ইতিমধ্যে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
ভোমরা বন্দর-সংশ্লিষ্ট স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ভালো সড়ক দিয়ে চলাচল করা নিয়ে ভারত থেকে পণ্য নিয়ে আসা কয়েকটি ট্রাকের চালক ও খালাসির সঙ্গে গতকাল রাতে বন্দর এলাকায় স্থানীয় সাদাম হোসেনের নেতৃত্বে শ্রমিকদের বাদানুবাদ হয়। একপর্যায়ে ভারতীয় ট্রাকচালক ও খালাসিদের মারপিট করা হয়। এ সময় ভাঙচুর করা হয় তিনটি ট্রাক। মারপিটে সাতজন ভারতীয় ট্রাকচালক ও খালাসি আহত হন। এ ঘটনায় আজ সকাল থেকে ভারতের ঘোজাডাঙ্গা স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশে পণ্য আমদানি ও রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।