সিংড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী লুৎফুল হাবীব
সিংড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী লুৎফুল হাবীব

সিংড়া উপজেলা নির্বাচন

প্রার্থীকে অপহরণের ঘটনায় প্রতিদ্বন্দ্বী লুৎফুল হাবীবকে আওয়ামী লীগের শোকজ

নাটোরের সিংড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চেয়ারম্যান প্রার্থী দেলোয়ার হোসেনকে অপহরণ ও মারধরের ঘটনায় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী লুৎফুল হাবীবকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে আওয়ামী লীগ। আজ শুক্রবার বিকেলে সিংড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জান্নাতুল ফেরদৌস স্বাক্ষরিত নোটিশের চিঠি তাঁকে পাঠানো হয়।

নোটিশে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে অপহরণ ও মারধরের ঘটনায় কেন তাঁর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। আগামী তিন দিনের মধ্যে নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে। অভিযুক্ত লুৎফুল হাবীব উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদের শ্যালক।

কারণ দর্শানোর নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রার্থী দেলোয়ার হোসেনকে অপহরণ ও মারধরের ঘটনায় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী লুৎফুল হাবীবের সম্পৃক্ততা থাকা নিয়ে সংবাদমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা চলছে। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার একজন আসামি আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতেও তাঁর সম্পৃক্ততার কথা উল্লেখ করেছেন, যা দলীয় আচরণবিধির পরিপন্থী। এর ফলে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে। এমতাবস্থায় লুৎফুল হাবীবের বিরুদ্ধে কেন সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, সে ব্যাপারে কারণ দর্শানোর জন্য তাঁকে তিনি দিনের সময় বেঁধে দেওয়া হয়।

নোটিশের বিষয়টি নিশ্চিত করে আওয়ামী লীগের নেতা জান্নাতুল ফেরদৌস প্রথম আলোকে বলেন, সিংড়ার সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ আজ সকালে রাজশাহীতে আসেন। তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দেলোয়ার হোসেনকে দেখতে যান এবং তাঁর শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন। পরে তিনি সিংড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে লুৎফুল হাবীবকে কারণ দর্শানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ জন্য তাঁকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

প্রতিমন্ত্রীর বরাত দিয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস আরও বলেন, বৈঠক শেষে লুৎফুল হাবীবকে ফোন করে প্রতিমন্ত্রী তাঁর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি তাঁকে বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ মোতাবেক তিনি তাঁকে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের নির্দেশ দিচ্ছেন।

জানতে চাইলে লুৎফুল হাবীব প্রথম আলোকে বলেন, আজ বিকেল পর্যন্ত তিনি এমন কোনো নোটিশ পাননি। পেলে অবশ্যই জবাব দিবেন। নিজেকে নির্দোষ দাবি করে তিনি বলেন, ‘আমি দেলোয়ারকে অপহরণ বা মারধরের ঘটনায় জড়িত নই। আমি ঘটনাস্থলেও ছিলাম না। যারা ওই ঘটনা ঘটিয়েছে, তাদের আমি কোনো নির্দেশনাও দিইনি। অনুমানের ভিত্তিতে আমাকে জড়িত করে নোটিশ দেওয়া হচ্ছে। গণমাধ্যমে অভিযোগ করা হচ্ছে। সঠিক তদন্ত করলে আমার দাবির সত্যতা পাওয়া যাবে।’