পাশের বাড়ির সেপটিক ট্যাংকে পাওয়া গেল নিখোঁজ শিশুর লাশ

শিশু মাইশা আক্তার
ছবি: সংগৃহীত

নরসিংদীর পলাশ উপজেলায় নিখোঁজের চার দিন পর পাশের বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে সাড়ে তিন বছর বয়সী এক শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে উপজেলার ডাঙ্গা ইউনিয়নের জয়নগর গ্রাম থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ওই বাড়ির তিনজনকে আটক করেছে র‍্যাব।

নিহত নিহত শিশুর নাম মাইশা আক্তার। সে পলাশের ডাঙ্গা ইউনিয়নের জয়নগর গ্রামের মেহেদী হাসানের মেয়ে। আর আটক তিনজন হলেন নিহতের পাশের বাড়ির বাসিন্দা জালাল শেখ (৪৮), তাঁর স্ত্রী মাহফুজা শেখ (৩৯) ও ছেলে বিল্লাল শেখ (২০)।

শিশু মাইশার লাশ উদ্ধারের বিষয়ে আজ দুপুর ১২টার দিকে র‍্যাব-১১ নরসিংদী ক্যাম্পে সংবাদ সম্মেলন করা হয়। সেখানে ক্যাম্পের কমান্ডার জ্যেষ্ঠ পুলিশ সুপার নিশাত তাবাসসুম বলেন, ২১ জুন শুক্রবার বিকেলে খেলার জন্য ঘর থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হয় মাইশা। ওই রাতে তাঁর বাবা পলাশ থানায় নিখোঁজের সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এটির কপি নিয়ে গতকাল বিকেলে র‍্যাব ক্যাম্পে আসেন মেয়েটির বাবা মেহেদী হাসান। ঘটনা শুনে গতকাল রাতেই তারা ওই বাড়িতে গিয়ে একটি সিসিটিভি ফুটেজ উদ্ধার করেন। এ সময় পাশের বাড়ির বিল্লাল শেখ নামের এক তরুণকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ক্যাম্পে আনা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে বিল্লাল শেখ হত্যাকাণ্ডে তাঁর বাবার জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে র‍্যাবকে জানান, হত্যার পর বিল্লাল ও তাঁর মা মাহফুজার সহযোগিতায় মাইশার লাশ ওই বাড়ির সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দেওয়া হয়।

আজ সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে আটক বিল্লালকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে অভিযান চালান বলে জানান র‍্যাব কর্মকর্তা নিশাত তাবাসসুম। তিনি বলেন, এ সময় ঢাকনা সরালে সেপটিক ট্যাংকে মাইশার লাশ পড়ে থাকতে দেখা যায়। পরে সকাল আটটার দিকে পলাশ থানার পুলিশ ট্যাংক থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করে। এরপরই জালাল, বিল্লাল ও মাহফুজাকে আটক করে নিয়ে যায় র‍্যাব।

শিশুটির বাবা মেহেদী হাসান বলেন, ‘আমার এইটুকু মেয়েকে কেন হত্যা করা হলো, জানতে চাই। যারা তাকে মেরে ফেলেছে তাদের ফাঁসি চাই।’

পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইকতিয়ার উদ্দিন বলেন, নিখোঁজের জিডিটি এখন হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হবে। সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির পর ময়নাতদন্তের জন্য লাশ নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। জড়িত আটক ব্যক্তিদের হস্তান্তর করার পর মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হবে।