হবিগঞ্জে স্বাভাবিক প্রসবে একসঙ্গে তিন শিশুর জন্ম

হবিগঞ্জ সদর উপজেলার পইল ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে একসঙ্গে তিন সন্তানের জন্ম দিয়েছে এক নারী। দাদি ও নানির কোল দুই শিশু। মধ্যে আরেক শিশুকে কোলে নিয়ে বসেছেন পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা নুরজাহান বেগম
ছবি : সংগৃহীত

হবিগঞ্জ সদর উপজেলার পইল ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ কেন্দ্রে স্বাভাবিক প্রসবের মাধ্যমে একসঙ্গে তিন পুত্রসন্তান জন্ম দিয়েছেন রাহেলা আখতার (৩৫) নামের এক নারী। গতকাল রোববার রাত ১১টার দিকে সন্তান প্রসব করেন তিনি। নবজাতকেরা ও তাদের মা  সুস্থ আছেন। আজ সোমবার তাঁরা বাড়িতে ফিরেছেন।

রাহেলা বাহুবল উপজেলার করিমপুর গ্রামের মো. আরশ আলীর স্ত্রী। তাঁর আরও তিন সন্তান রয়েছে। স্বাভাবিক প্রসবে সহায়তা করায় ওই পরিবারকল্যাণ কেন্দ্রের পরিবারকল্যাণ পরিদর্শিকা নুরজাহান বেগমের (৪৫) প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন রাহেলার পরিবার।

নুরজাহান বেগম জানান, গতকাল রাতে রাহেলা আক্তার প্রসব ব্যথা নিয়ে পইল স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ কেন্দ্রে ভর্তি হন। তিনি প্রথমে জানতেন না রাহেলার গর্ভে তিন সন্তান রয়েছে। রাহেলার পরিবার থেকে তাঁকে জানানো হয়, পেটে দুই সন্তান রয়েছে। রাত ১১টার দিকে স্বাভাবিকভাবে প্রথমে একটি ছেলেসন্তানের জন্ম দেন তিনি। এর কয়েক মিনিটের ব্যবধানে একে একে আরও দুটি সন্তান প্রসব করেন রাহেলা। দুই নবজাতকের ওজন আড়াই কেজি। একজনের ওজন দুই কেজি। তুলনামূলক কম ওজনের নবজাতককে মায়ের ত্বকের সঙ্গে যুক্ত করে ক্যাঙারু মাদার কেয়ার (কেএমসি) সেবা দেওয়া হচ্ছে।

তিন নবজাতক বর্তমানে সুস্থ আছেন

নুরজাহান বেগম আরও বলেন, পইল ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে প্রতি মাসে ৬০ থেকে ৭০টি স্বাভাবিক প্রসব হয়। এই প্রথম নয়, এর আগেও চারবার তিনি তিন সন্তানের স্বাভাবিক প্রসব করিয়েছেন। কাজের স্বীকৃতি হিসেবে ২০২১ সালে তাঁকে রাষ্ট্রীয় শুদ্ধাচার পুরস্কারে ভূষিত করা হয়। সরকার প্রবর্তিত সরকারি কর্মচারীদের পেশাগত দক্ষতা ও সততার ওপর ভিত্তি করে এ পুরস্কার দেওয়া হয়।

তিন নবজাতকের বাবা আরশ আলী একজন কৃষক। তিনি বলেন, তাঁদের আগে তিন সন্তান ছিল তাঁর মেয়ে। এখন একসঙ্গে তিন ছেলেসন্তান পেয়ে তিনি ও তাঁর স্ত্রী অনেক খুশি। আর রাহেলা আখতার বলেন, একসঙ্গে তিন শিশুকে লালন–পালন করা অনেক কষ্টের কাজ। তবে তিন ছেলেকে পেয়ে তিনি খুশি।