ফরিদপুরের মধুখালীর ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লি গ্রামে মন্দিরে অগ্নিসংযোগ, হত্যা ও পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে তিনটি মামলা হয়েছে। গত শুক্রবার রাতে মধুখালী থানায় এ মামলা তিনটি নথিভুক্ত করা হয়।
একটি মামলার বাদী পঞ্চপল্লি সর্বজনীন কালীমন্দিরের পূজারী কৃষ্ণনগর গ্রামের বাসিন্দা প্রভাষ চন্দ্র মণ্ডলের স্ত্রী তপতী রানী মণ্ডল (৪৭)। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা থেকে সাতটার মধ্যে কে বা কারা ওই মন্দিরে কালীপ্রতীমার পরনের শাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়ায় তিনি ওই মামলা করেন।
দ্বিতীয় মামলার বাদী পিটুনিতে নিহত দুই সহোদর আশরাফুল খান (২০) ও আসাদুল খানের (১৮) বাবা মধুখালী উপজেলার নওপাড়া ইউনিয়নের চোপেরঘাট গ্রামের মো. শাহজাহান খান (৪৬)। এ মামলায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করা হয়েছে।
তৃতীয় মামলাটির বাদী মধুখালী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শংকর বালা। এ মামলায় ওই থানার ওসিসহ ১০ জন পুলিশ সদস্যকে আহত করা, সরকারি কাজে বাধা দেওয়া, সরকারি সম্পত্তির ক্ষতিসাধন করা এবং অগ্নিসংযোগের অভিযোগ আনা হয়েছে। এ মামলায় আসামি হিসেবে ৩১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। পাশাপাশি মধুখালী ও বালিয়াকান্দির অজ্ঞাতনামা ‘আরও অনেক’কে আসামি করা হয়েছে।
মধুখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিরাজ হোসেন জানান, এ ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি ১০ জনকে থানায় আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত বৃহস্পতিবার রাতে মধুখালীর ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লি সর্বজনীন কালীমন্দিরে প্রতীমায় অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার এলাকাবাসীর হামলায় চার নির্মাণশ্রমিক আহত হন। পরে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুই সহোদর আশরাফুল ও আসাদুলের মৃত্যু হয়।