জামালপুরের ইসলামপুর সরকারি কলেজের এক নারী কর্মকর্তার সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণের অভিযোগে কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. শাওন সরকারকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি খাবীরুল ইসলাম খান ও সাধারণ সম্পাদক নাফিউল করিমের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল সোমবার রাতে এ তথ্য জানানো হয়।
ইসলামপুর সরকারি কলেজের ওই কর্মকর্তার নাম তাসলিমা আক্তার। তিনি কলেজের হিসাবরক্ষক পদে আছেন। এ ছাড়া তিনি জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাকসুদ বিন জালাল ওরফে প্লাবনের স্ত্রী।
তাসলিমা আক্তার মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘গতকাল দুপুরে কলেজের ডিগ্রি তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষার প্রবেশপত্র দিচ্ছিলাম। এ সময় ছাত্রলীগ নেতা মো. শাওন সরকার আসেন। প্রত্যেক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে প্রবেশপত্রের জন্য ফি হিসেবে রসিদের মাধ্যমে ৩০০ টাকা নেওয়া হচ্ছিল। সবাই টাকা দিয়ে রসিদ নিচ্ছিলেন; কিন্তু শাওন রসিদ কাটার পরও টাকা দিচ্ছিলেন না। তাঁকে বলা হয়েছিল, “তুমি পরে এসে নিয়ে যেও।’ কিন্তু তিনি তখনই টাকা ছাড়া প্রবেশপত্র নেবেন। এতেই তিনি (শাওন) আমার সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন এবং হাত থেকে একরকম ছিনিয়ে প্রবেশপত্র নেন। এ সময় তিনি আমাকে ধাক্কাও দেন।’
জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাফিউল করিম প্রথম আলোকে বলেন, ওই কলেজের একজন নারী হিসাবরক্ষকের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণের অভিযোগে মো. শাওনকে তাঁর পদ থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
শাওন সরকার প্রথম আলোকে বলেন, ‘তেমন কিছুই হয়নি। নিজেদের মধ্যে শুধু একটু ভুল-বোঝাবুঝি হয়েছিল। বিষয়টি নিয়ে আমি কথা বলেছি সবার সঙ্গে। আমাকে অব্যাহতি দেওয়ার পত্রটি ফেসবুকের মাধ্যমে দেখেছি।’