চট্টগ্রাম নগরের ওমরগণি এমইএস কলেজ ও ইস্পাহানি পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষে আহত একজনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। আজ বেলা ১টায় এম ই এস কলেজের সামনে
চট্টগ্রাম নগরের ওমরগণি এমইএস কলেজ ও ইস্পাহানি পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষে  আহত একজনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। আজ বেলা ১টায় এম ই এস কলেজের সামনে

ছাত্রীর গায়ে ফুটবল পড়ার জেরে সংঘর্ষ, আহত ১৫

এক ছাত্রীর গায়ে ফুটবল পড়ায় চট্টগ্রাম নগরের ওমরগণি এমইএস কলেজ ও ইস্পাহানি পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এই সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। পরে দুপুর ১২টার দিকে শিক্ষক ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দুটির অবস্থান নগরের জাকির হোসেন সড়কে। পাশাপাশি লাগোয়া এই দুই কলেজের সামনে একটি খেলার মাঠ রয়েছে। মাঠটি এমইএস কলেজের মালিকানাধীন। প্রত্যক্ষদর্শী ও কলেজের শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সকালে এমইএস কলেজের শিক্ষার্থীরা মাঠে ফুটবল খেলছিলেন। ইস্পাহানির দশম শ্রেণির এক ছাত্রী পাশ দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় বল এসে গায়ে লাগে। পরে ওই ছাত্রীর সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হয়। এমইএস কলেজের শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বল গায়ে পড়ার পর ওই ছাত্রী এক শিক্ষার্থীকে থাপ্পড় দেয়।

জানা গেছে, থাপ্পড় দেওয়ার বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর এমইএস কলেজের শিক্ষার্থীরা কলেজ প্রাঙ্গণে জড়ো হতে শুরু করেন। ইস্পাহানির বিভিন্ন শ্রেণির শিক্ষার্থীরাও তাঁদের কলেজ প্রাঙ্গণে জড়ো হয়ে যান। পরে দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এভাবে ঘণ্টাখানেক সংঘর্ষ চলে। এতে দুই কলেজের অন্তত ১৫ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। তাঁদের নগরের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

ঘটনার বিষয়ে ইস্পাহানি পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের রেক্টর লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মোহাম্মদ মইনুল ইসলাম চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, এমইএস কলেজের কিছু শিক্ষার্থী ফুটবল খেলছিলেন। এক ছাত্রী পাশ দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় বল উড়ে এসে গায়ে পড়ে। পরে এ নিয়ে ঝামেলা তৈরি হয়েছিল। শিক্ষক ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বসে আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টির সমাধান করা হয়েছে। তিনি বলেন, তাঁরা (এমইএস কলেজের শিক্ষার্থীরা) পাথর ছুড়ে মারায় কলেজের গ্রন্থাগার ও সম্মেলনকক্ষের জানালার কাচ ভেঙে গেছে। এ ছাড়া ফটকের কাচ ভেঙে গেছে।

একই বিষয়ে ওমরগণি এমইএস কলেজের অধ্যক্ষ আ ন ম সারোয়ার আলম প্রথম আলোকে বলেন, গায়ে বল পড়ার পর ওই ছাত্রী চড় দিয়েছিল। এ বিষয়টি নিয়ে সমস্যা হয়। এতে তাঁদের কলেজের দুই শিক্ষার্থী ভালোভাবে আহত হয়েছেন। আর সামান্য আহত হওয়া ১০ থেকে ১২ শিক্ষার্থীকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

জানতে চাইলে খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুজিবুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, তুচ্ছ ঘটনায় ঝামেলা হয়েছিল। পরে দুই কলেজের শিক্ষকেরা বসে বিষয়টি সমাধান করেছেন। পরিস্থিতি এখন শান্ত।