আওয়ামী লীগের নির্যাতনের বর্ণনা দিয়ে শেষ করা যাবে না: বিএনপি নেতা আবুল কালাম

কুমিল্লার মনোহরগঞ্জের ভাউপুর এলাকায় বানভাসি মানুষদের মধ্যে ত্রাণসহায়তা দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা মো. আবুল কালাম। শুক্রবার দুপুরে
ছবি: প্রথম আলো

গত ১৫ বছরে বিএনপির নেতা-কর্মীদের ওপর আওয়ামী লীগের নির্যাতনের বর্ণনা দিয়ে শেষ করা যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির শিল্পবিষয়ক সম্পাদক মো. আবুল কালাম। তিনি বলেন, গত ১৫ বছরে বিএনপির নেতা-কর্মীদের ওপর এমন কোনো অত্যাচার নেই যে আওয়ামী লীগ করেনি। গত ৫ আগস্ট ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পথ সেই অত্যাচারীরা নিজেরাই এলাকা থেকে পালিয়ে গেছেন। এটা থেকেই বোঝা যায়, তাঁরা কী পরিমাণ অত্যাচার-নির্যাতন করেছেন মানুষের ওপর।

আজ শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে এক পথসভায় দেওয়া বক্তব্যে এ কথাগুলো বলেন আবুল কালাম। এ সময় স্থানীয় বিএনপির নেতা-কর্মীদের নিয়ে উপজেলার সরসপুর ইউনিয়নের ভাউপুর এলাকায় বানভাসি মানুষদের মধ্যে ত্রাণসহায়তা দেন আবুল কালাম। পরে পাশের লক্ষণপুর ইউনিয়নেও বন্যার্তদের ত্রাণসহায়তা দেন তিনি।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় বানভাসিদের জন্য এ উপহারসামগ্রী নিয়ে এসেছেন জানিয়ে আবুল কালাম বলেন, ‘আমাদের নেতা তারেক রহমানের নির্দেশে বিএনপির সর্বস্তরের নেতা-কর্মীরা বানভাসি মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। দেশের বাইরে থাকলেও তারেক রহমান প্রতিনিয়ত বন্যার্ত মানুষের খোঁজখবর রাখছেন। তিনি আমাদের নির্দেশনা দিয়েছেন, নিজ নিজ এলাকায় গিয়ে বানভাসি পাশে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য।’

নেতা-কর্মীদের দলীয় শৃঙ্খলা মেনে চলতে হবে উল্লেখ করে আবুল কালাম বলেন, ‘আপনারা বিএনপির রাজনীতি করেন। মোটরসাইকেল শোডাউন করে আমার নামে বা কোনো ভাইয়ের নামে স্লোগান দিতে হবে না। দেশনেত্রী খালেদা জিয়া, তারেক রহমান ও আমাদের ছবি দিয়ে পোস্টার-ব্যানার করতে হবে না। পারলে সেই টাকা দিয়ে বানভাসি মানুষের পাশে, অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ান। কেউ নিজের হাতে আইন তুলে নেবেন না। নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। কারও বাড়িঘর বা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা করা যাবে না। আওয়ামী লীগ যাঁরা করেন, সবাই অপরাধী না। যাঁরা মানুষের ওপর জুলুম অত্যাচার করেছেন, তাঁদের বিচার আইনগতভাবে হবে।’

বিএনপি দেশ মেরামতের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সময় দেবে উল্লেখ করে আবুল কালাম বলেন, ‘গত ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে লুটপাট করে আওয়ামী লীগ দেশটাকে শেষ করে দিয়েছে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগের পতনের পর বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশ মেরামতের চেষ্টা করছে। এ জন্য সরকারকে সময় দিতে হবে, আমরা সময় দিতে চাই। আর প্রত্যেকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে বর্তমানে সরকারকে সহযোগিতা করতে হবে। তাহলেই দ্রুত দেশ মেরামত করে জাতীয় নির্বাচন সম্ভব হবে।’

এ সময় মনোহরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক শাহ সুলতান খোকন, সদস্যসচিব সারওয়ার জাহান ভূঁইয়া, উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কাশেম, লাকসাম উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক জিল্লুর রহমানসহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।