নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ঘোড়াশালে মোটরসাইকেলে করে রেলক্রসিং পার হওয়ার সময় ট্রেনের ধাক্কায় তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের (পিডিবি) এক উপসহকারী প্রকৌশলী নিহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে ঘোড়াশালের চামড়াব এলাকার নাজমুল সিএনজি পাম্প–সংলগ্ন রেলক্রসিংয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তির নাম মো. খোরশেদ আলম (৪৬)। তিনি মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া এলাকার মো. সাদেক আলীর ছেলে এবং ঘোড়াশাল তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের ৭ নম্বর ইউনিটের উপসহকারী প্রকৌশলী। তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের মাধবী কোয়ার্টারে পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন তিনি।
রেলওয়ে পুলিশ ও নিহতের পরিবারের সদস্যরা জানান, আজ সকালে একটি ট্রেনিংয়ে ক্লাস নিতে নিজের মোটরসাইকেলে করে টঙ্গীতে যাচ্ছিলেন মো. খোরশেদ আলম। সকাল ৯টার দিকে রেলক্রসিংটির সামনে পৌঁছার পর বাঁশের ব্যারিকেড পাতা দেখতে পান। একপর্যায়ে ঝুঁকি নিয়ে তিনি ওই বাঁশের ব্যারিকেড সরিয়ে রেলক্রসিং পার হওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা বিরতিহীন আন্তনগর সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ট্রেনটি চট্টগ্রামের দিকে যাচ্ছিল। ওই ট্রেনের ধাক্কায় মোটরসাইকেলটি ২০ ফুট ও তিনি ৫০ ফুট দূরত্বে ছিটকে পড়েন। এতে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।
রেলক্রসিংটির গেটম্যান আমজাদ হোসেন জানান, বিরতিহীন একটি ট্রেন রেলক্রসিংটি অতিক্রম করার খবরে বাঁশের ব্যারিকেড ফেলে যানবাহন আটকে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু মোটরসাইকেল আরোহী ওই ব্যক্তি তা ডিঙিয়ে রেললাইন পার হচ্ছিলেন। অনেকেই বাধা দিলেও তিনি হয়তো ভেবেছিলেন, পার হয়ে যেতে পারবেন, কিন্তু পারেননি। ট্রেনের ধাক্কায় প্রায় ৫০ ফুট দূরত্বে দুই রেললাইনের মধ্যে ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। পরে খবর পেয়ে তাঁর স্বজনেরা ঘটনাস্থলে এসে রেলওয়ে পুলিশ আসার আগেই লাশ নিয়ে যান।
নরসিংদী রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক সাইফুল ইসলাম জানান, ‘ট্রেনের ধাক্কায় পিডিবির উপসহকারী প্রকৌশলী মো. খোরশেদ আলম নিহত হওয়ার খবরে তাঁর পরিবারের কাছে গিয়েছিলাম। তাঁর লাশের ময়নাতদন্ত হোক, পরিবারের সদস্যরা চান না। তাঁদের কোনো অভিযোগও নেই। তাঁদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।’