শেরপুরে সংঘর্ষ চলাকালে গুরুতর আহত এক যুবককে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। রোববার বিকেলে শহরের খরমপুর এলাকায়
শেরপুরে সংঘর্ষ চলাকালে গুরুতর আহত এক যুবককে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। রোববার বিকেলে শহরের খরমপুর এলাকায়

শেরপুরে সংঘর্ষে নিহত ২, বিভিন্ন স্থানে ভাঙচুর

শেরপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচিকে ঘিরে আওয়ামী লীগ–ছাত্রলীগ নেতা–কর্মীদের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়েছেন। জেলা পুলিশ সুপার মো. আকরামুল হোসেন দুজনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছেন।


আজ রোববার বিকেল চারটা থেকে পাঁচটা পর্যন্ত শহরের খরমপুর, তিনআনী বাজার কলেজ মোড়, নিউমার্কেট ও রঘুনাথ বাজার থানা মোড় এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। এ সময় পুলিশের স্থাপনা ভাঙচুর ও আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে।

নিহত দুজনের মধ্যে একজনের নাম মো. মনির (২৭)। তাঁর বাড়ি সদর উপজেলার পাকুরিয়া ইউনিয়নের চৈতনখিলা গ্রামে। অন্যজন অজ্ঞাতনামা এক যুবক (২৫)। আহত ব্যক্তিদের জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আজ বেলা আড়াইটার দিকে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আতিউর রহমানের নেতৃত্বে শহরের চকবাজার এলাকা থেকে একটি মিছিল বের হয়ে শহর প্রদক্ষিণ করে। বেলা সাড়ে তিনটার দিকে শেরপুর-১ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য মো. ছানুয়ার হোসেন ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. হুমায়ুন কবীরের নেতৃত্বে আরেকটি মিছিল শহরের পৌর নিউমার্কেট থেকে বের হয়। মিছিলটি শহরের খরমপুর এলাকায় এসে পৌঁছালে তিনআনী বাজার কলেজ মোড় থেকে বিক্ষোভকারীদের একটি মিছিল খরমপুর এলাকায় আসে। এ সময় উভয় পক্ষে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। সংবাদ পেয়ে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে সেনাবাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার মাঝখানে পুলিশের দ্রুতবেগের গাড়ির চাপা পড়ে মনির আহত হন। এ ছাড়া ইটপাটকেল নিক্ষেপে আরও কয়েকজন গুরুতর আহত হন। আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে মনির ও অজ্ঞাতনামা এক যুবককে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

এদিকে বিক্ষোভকারীরা শহরের তিনআনী বাজার কলেজ মোড় এলাকায় অবস্থিত ট্রাফিক পুলিশ বক্স, পুলিশের একটি সুপারসপ ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন। এ ছাড়া কয়েকটি মোটরসাইকেল ও সরকারি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সাইদুর রহমান আজ সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে বলেন, পুলিশ আজ অ্যাকশনে যায়নি। পুলিশের অনেক স্থাপনার ক্ষতি হয়েছে। সতর্ক অবস্থানে থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে।