চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনে সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ মোতালেব স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ায় দল থেকে তাঁকে বহিষ্কারের দাবিতে ঝাড়ু মিছিল করেছে যুবলীগ ও ছাত্রলীগ। পাশাপাশি তাঁর ছবি পোড়ানো হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের সাতকানিয়ার কেরানীহাট হক টাওয়ারের সামনে থেকে ঝাড়ু মিছিলটি শুরু হয়ে রাস্তার মাথা এলাকা ঘুরে কেরানীহাট তিন রাস্তার মোড়ে এসে শেষ হয়। সেখানে সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাতকানিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের পদ থেকে সদ্য পদত্যাগ করা এম এ মোতালেবের ছবিতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
এরপর সেখানে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি কে এম পারভেজ, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, গণযোগাযোগ ও উন্নয়নবিষয়ক সম্পাদক জায়েদ খান প্রমুখ। এ সময় প্রায় আধা ঘণ্টা মহাসড়কের দুই দিকে শতাধিক গাড়ি যানজটে আটকা পড়ে।
ঝাড়ু মিছিল ও ছবিতে আগুন দেওয়ার ঘটনার পেছনে সংসদ সদস্য আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামউদ্দিন নদভীর অনুসারীরা রয়েছেন বলে দাবি করেছেন এম এ মোতালেব। আজ সন্ধ্যায় উপজেলার কেরানীহাটের একটি রেস্তোরাঁয় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় এম এ মোতালেব বলেন, ‘নদভীর লোকজন নির্বাচনের শুরুতেই অন্যায় করছেন। তাঁরা ঝাড়ু মিছিল ও ছবিতে আগুন দেওয়ার মতো জঘন্য কাজ করেছেন। তা ছাড়া উপজেলার দেওদীঘি এলাকায় আমার সঙ্গে দেখা করতে আসার সময় কিছু লোককেও আটকে রেখে ছিলেন তাঁরা।’
মহাসড়কে যানজট সৃষ্টি করে মিছিল ও সমাবেশ সম্পর্কে জানতে চাইলে সাতকানিয়া উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক হারেজ মোহাম্মদ প্রথম আলোকে বলেন, এম এ মোতালেব উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হয়েও নৌকা প্রতীকের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় দলের নেতা-কর্মীরা স্বেচ্ছায় ঝাড়ু মিছিল করেছেন। তবে সড়কের এক পাশ দিয়ে গাড়ি চলাচলের সুযোগ রেখে মিছিলটি করা হয়েছে। তিনি মোতালেবের সঙ্গে দেখা করতে আসা লোকজনকে আটকে রাখার বিষয়টি মিথ্যা প্রচারণা বলে দাবি করেন।
মহাসড়কে যানজটের ব্যাপারে জানতে চাইলে সাতকানিয়ার কেরানীহাট এলাকায় দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশের উপপরিদর্শক (টিএসআই) আবুল কালাম আজাদ প্রথম আলোকে বলেন, মিছিল ও সমাবেশের কারণে কিছু সময়ের জন্য মহাসড়কের কেরানীহাট এলাকায় থেমে থেমে যানজট সৃষ্টি হয়েছিল। তবে পুলিশ ও ট্রাফিক পুলিশের সদস্যদের তৎপরতায় যানজট বেশি সময় স্থায়ী হয়নি।