সোনারগাঁয়ে যুবদলের মশালমিছিল থেকে দুই কর্মী আটক

আটক
প্রতীকী ছবি

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মেঘনা টোল প্লাজা এলাকায় মশালমিছিল করার সময় দুই যুবদল কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার রাত ৯টার দিকে অবরোধের সমর্থনে সোনারগাঁ উপজেলা যুবদল মিছিলটি বের করে।

আটক দুই যুবদল কর্মী হলেন মো. নয়ন ও জিসান আহমেদ। তাঁদের বাড়ি সোনারগাঁয়ের পিরোজপুর ইউনিয়নে। সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুব আলম তাঁদের গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গতকাল রাত ৯টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নয়াগাঁও রোলিং মিল থেকে যুবদলের নেতা–কর্মীরা একটি মশালমিছিল বের করেন। মিছিল থেকে তাঁরা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন ও খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন। মিছিলটি মেঘনা টোল প্লাজা এলাকায় পৌঁছালে পুলিশ ধাওয়া দিয়ে দুজনকে ধরে ফেলে। বাকিরা সেখান থেকে পালিয়ে যান।

জেলা যুবদল নেতা খাইরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, উপজেলা যুবদল নেতা আশরাফ ভূঁইয়া, আজীজুল ইসলাম ও আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে একটি মশালমিছিল বের করা হয়। মিছিলকারীরা সড়কে কোনো ভাঙচুর কিংবা অগ্নিসংযোগও করেননি। কেবল মিছিল করার অপরাধে পুলিশ ধাওয়া দিয়ে দুই কর্মীকে ধরে নিয়ে যায়। মিছিলের পর ওই মিছিলে থাকা পিরোজপুর ইউনিয়ন যুবদল নেতা আনোয়ার হোসেনের বাড়িতে স্থানীয় যুবলীগের লোকজন লাঠিসহ মহড়া ও বাড়ির লোকজনকে হুমকি–ধমকি দিয়েছেন।

আনোয়ার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, রাত সাড়ে ৯টার দিকে তাঁর বাড়িতে স্থানীয় যুবলীগের লোকজন লাঠিসোঁটাসহ মহড়া দেন। এ সময় তাঁরা পরিবারের লোকজনকে গালাগাল করেন। আনোয়ারকে পাওয়া গেলে হত্যা করা হবে বলেও হুমকি দেন। যুবলীগের লোকজন বাড়িতে থাকতেই সোনারগাঁ থানা–পুলিশ তাঁর বাড়িতে গিয়ে তল্লাশি চালায়।

এ বিষয়ে ওসি মাহবুুব আলম বলেন, যুবদলের লোকজন মশালসহ মিছিল করে সড়কে অগ্নিসংযোগ ও সড়ক অবরোধের চেষ্টা করেন। পুলিশ তাঁদের ধাওয়া দিলে তাঁরা পালিয়ে যান। সেখান থেকে দুজনকে আটক করা হয়েছে। তবে মিছিলের পর যুবদল নেতা আনোয়ার হোসেনের বাড়িতে স্থানীয় যুবলীগ কর্মীদের লাঠিসোঁটাসহ মহড়া ও পুড়িয়ে মারার হুমকির বিষয়ে তিনি জানেন না।