কিশোরগঞ্জে আওয়ামী লীগের দুই নেতাসহ চারজনের মৃত্যুর কারণ নিয়ে এখন পর্যন্ত যা জানা গেল

কুলিয়ারচর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. গিয়াস উদ্দিন ও জহির রায়হান
ছবি: সংগৃহীত

কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে আড্ডা থেকে ফেরার পর দুই আওয়ামী লীগ নেতাসহ চারজনের মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা কাটেনি। এ নিয়ে স্পষ্ট করে বক্তব্য দেয়নি পুলিশ কিংবা চিকিৎসকেরা। অবশ্য মৃত্যুবরণ করা আওয়ামী লীগ নেতা গিয়াস উদ্দিন ও জহির রায়হানকে হাসপাতালে ভর্তির সময় নথিতে ‘অ্যালকোহল অ্যাবিউসার’ (মদ্যপানকারী) উল্লেখ করা হয়। মৃত্যুবরণকারী গোবিন্দ চন্দ্র বিশ্বাসকে ভর্তির সময় উল্লেখ করা হয় ‘হৃদ্‌রোগ’।

সোমবার ভোরে জেলার বাজিতপুরে অবস্থিত জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে মারা যান কুলিয়ারচর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. গিয়াস উদ্দিন ও জহির রায়হান। গত শনিবার রাতে তাঁরা ঘনিষ্ঠ কয়েকজন একসঙ্গে আড্ডা দেন। সেখান থেকে ফেরার পর থেকেই তাঁরা অসুস্থ বোধ করছিলেন বলে পরিবার সূত্রে জানা গেছে। তাঁদের সঙ্গে আড্ডায় থাকা হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক গোবিন্দ চন্দ্র বিশ্বাস (৪২) ও রিকশাচালক শাহজাহান মিয়ারও (৪০) মৃত্যু হয়েছে। গোবিন্দ চন্দ্র মারা গেছেন সোমবার বেলা ১১টার দিকে জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। আর শাহজাহানের মৃত্যু হয় রোববার দুপুরে।

পরিবারের সদস্যরা জানান, শনিবার বাসায় ফিরে আসার পর প্রত্যেকের শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল। কারও কারও জ্বর আসে। অসুস্থ হলেও কেউ পরিবারের কাছে বিশেষ কিছু বলেনি। বিশেষ করে গিয়াস ও জহির উভয় নিজ ঘরে দরজা আটকে শুয়ে সময় পার করেন। রোববার ভোরে শ্বাসকষ্ট বেড়ে গেলে পরিবারের সদস্যদের ডেকে এনে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কথা বলেন। হাসপাতালে নেওয়ার ঘণ্টাখানের মধ্যে দুজনের মৃত্যু হয়।

জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নেওয়ার পর দুই আওয়ামী লীগ নেতাকে চিকিৎসা দেন জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মো. সেলিম। মৃত্যুর কারণ জানতে চাইলে তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের এড়িয়ে গিয়ে বলেন, স্পষ্ট ধারণা পেতে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।

হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক মো. বাহার উদ্দিন ভূঁইয়া সাংবাদিকদের বলেন, গিয়াস ও জহিরকে হাসপাতালে আনা হয়েছিল সোমবার ভোর চারটার দিকে। সে সময় দুজনের শরীরে প্রাণ থাকলেও সাড়া দিচ্ছিলেন না। পরে ৪টা ৩৫ মিনিটের দিকে গিয়াস মারা যান।

কুলিয়ারচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. গোলাম মস্তুফা বলেন, এখন পর্যন্ত চার মৃত্যু নিয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ নেই। মৃত্যুর কারণও অজানা। তবে কারণ জানার চেষ্টায় আছে পুলিশ।

কুলিয়ারচর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ইয়াছির মিয়া বলেন, এখন সবার জিজ্ঞাসা, কেন এমন হলো?