রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার জামায়াত নেতাকে আটকে শারীরিক নির্যাতন ও চাঁদাবাজির অভিযোগে পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত ডিআইজি চৌধুরী মঞ্জুরুল করিমসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বালিয়াকান্দি আমলি আদালতে মামলাটি করেন উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর সাবেক সেক্রেটারি খন্দকার মনির আজমের ছেলে কলেজছাত্র খন্দকার ফয়সাল বিন মনির।
মামলার আসামিরা হলেন পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত ডিআইজি ও সাতক্ষীরার সাবেক পুলিশ সুপার চৌধুরী মঞ্জুরুল করিম, তাঁর ছোট ভাই জুয়েল চৌধুরী, হিমেল চৌধুরী, বালিয়াকান্দি উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি ইদ্রিস আলী ফকির, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও বালিয়াকান্দি সদর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নায়েব আলী শেখ এবং বালিয়াকান্দি থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহিদুল ইসলাম।
খন্দকার মনির আজম বালিয়াকান্দি মডেল পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠ শিক্ষক ও রাজবাড়ী জেলা শ্রমিককল্যাণ ফেডারেশনের সহসভাপতি। এ ছাড়া তিনি জেলা জামায়াতে ইসলামীর সদস্য ও বালিয়াকান্দি উপজেলা জামায়াতের সাবেক সেক্রেটারি।
খন্দকার মনির আজম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি বালিয়াকান্দি উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি থাকাকালে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাদের মদদে ২০১৬ সালের ২২ এপ্রিল আমাকে বালিয়াকান্দি থানায় ধরে নিয়ে নির্যাতন করে পুলিশ। এ সময় ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে পরদিন ৫ লাখ টাকা আদায় করেন আসামিরা। এ বিষয়ে আমাকে ভয়ভীতি দেখানো হয়। ওই সময় মামলা করতে না পারায় দেশের পরিস্থিতি ভালো হওয়ায় এখন আদালতে আমার ছেলে ঢাকা কলেজের অনার্স চূড়ান্ত বর্ষের শিক্ষার্থী মামলা করেছে।’
খন্দকার মনির আজম আরও বলেন, পুলিশের তৎকালীন অতিরিক্ত ডিআইজি চৌধুরী মঞ্জুরুল করিম সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার (এসপি) থাকা অবস্থায় ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে তাঁর ছোট দুই ভাইকে দিয়ে এলাকায় অন্তত ৫০০ বিঘার মতো জমি করেছেন। এসব জমি জোর করে তাঁরা দখল করেন। কেনার নামে অনেককে টাকাও দেননি। ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিকেরা এখন একের পর এক অভিযোগ দিচ্ছেন। ৫ আগস্টের পর থেকে মঞ্জুরুল করিমসহ তাঁর পরিবারের লোকজন পলাতক আছেন বলে তিনি জানান।
মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী এস এম শাহারিয়ার জামান বলেন, আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্ত করে প্রতিবেদন আদালতে দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।