খাগড়াছড়ি উপজেলার দীঘিনালায় পাহাড়িদের ওপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। আজ শুক্রবার বিকেল সোয়া চারটায় ক্যাম্পাসে ‘সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দ, শাবিপ্রবি’ ব্যানারে এ কর্মসূচি পালন করেন তাঁরা।
এর আগে বেলা চারটা থেকে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুডকোর্ট এলাকায় জড়ো হতো থাকেন। পরে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার ভবনে এসে একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়। এ সময় বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সফটওয়্যার প্রকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী সাত্ত্বিক ব্যানার্জি, লোক প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী অমিতাভ ভূষন ত্রিপুরা, বাবলি মারমা প্রমুখ। এ সময় তাঁরা পাহাড়িদের বাড়িঘর, দোকানপাটে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগে জড়িত ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
সমাবেশে লিখিত বক্তব্যে বাবলি মারমা বলেন, ‘পরিকল্পিতভাবে গতকাল খাগড়াছড়ির দীঘিনালা লারমা স্কয়ারে সেটেলার বাঙালিদের প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে স্থানীয় আদিবাসীদের ওপর সাম্প্রদায়িক হামলা শুরু হয়। এ হামলায় পাহাড়ি আদিবাসীদের ঘরবাড়ি এবং অর্ধশতাধিক দোকানপাটে জিনিসপত্র লুটপাট করা হয় এবং পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এ সময় প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করে। পাহাড়ের মানুষ এখন নিরাপত্তাহীনতায় আছে। আমরা এসব সাম্প্রদায়িক হামলা ও মব জাস্টিসের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’
এ সময় বাবলি লারমা পাহাড়ে সাম্প্রদায়িক হামলার বিচার, পাহাড়ের আদিবাসীদের ওপর এই ন্যক্কারজনক ঘটনার সময় প্রশাসনের নীরব ভূমিকার জবাবদিহি করা, সাম্প্রদায়িক হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়াসহ পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরেন।