রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদের পানি বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কাপ্তাই জলবিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদনও বেড়েছে। আজ বুধবার সকাল থেকে ২১০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। এই মৌসুমে এটি সর্বোচ্চ উৎপাদন বলে জানিয়েছে জলবিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ।
কাপ্তাই জলবিদ্যুৎকেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, প্রতিবছর মে-জুন মাসে কাপ্তাই হ্রদে পানি বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যুৎ উৎপাদনও বাড়ে। কিন্তু এ বছর জুলাই মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত কাপ্তাই হ্রদে তেমন পানি ছিল না। এ কারণে জুলাই মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে কাপ্তাই জলবিদ্যুৎকেন্দ্রের বিদ্যুৎ উৎপাদনে সর্বনিম্ন পর্যায়ে চলে যায়। প্রতিদিন মাত্র ২০ থেকে ২৫ মেগাওয়াট উৎপাদন হয়েছে এই সময়ে। জুলাই মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের পর কিছু স্থানে বৃষ্টি হওয়ায় বিদ্যুৎ উৎপাদন কিছুটা বাড়ে। তখন এতে ২৫ মেগাওয়াট থেকে বেড়ে উৎপাদন ৬০ থেকে ৭০ মেগাওয়াটে দাঁড়িয়েছিল। আগস্ট মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে টানা বৃষ্টি হওয়ার পর বিদ্যুৎ উৎপাদন বেড়ে ১৩৫ মেগাওয়াট উৎপাদন হয়। আজ বুধবার সকাল থেকে ২১০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। বিদ্যুৎকেন্দ্রে মোট ৫টি ইউনিট রয়েছে। হ্রদে পর্যাপ্ত পানি থাকায় সব ইউনিট চালু রাখা হয়েছে। পাঁচ ইউনিটে ২৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপন্ন হচ্ছে বলে জানিয়েছে কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ।
কাপ্তাই জলবিদ্যুৎকেন্দ্রের কর্মকর্তারা জানান, আজ সকাল ৮টায় রুলকার্ভ অনুযায়ী কাপ্তাই হ্রদের পানির উচ্চতা ছিল ১০৬ দশমিক ১১ এমএসএল (মিন সি-লেভেল)। স্বাভাবিকভাবে পানি থাকার কথা ৯৯ দশমিক ৯২ এমএসএল। কাপ্তাই হ্রদের পানি ধারণক্ষমতা ১০৯ ফুট। এর চেয়ে বেশি পানি রাখা যাবে না। গত রোববার হ্রদে পানির উচ্চতা ছিল ১০৫ দশমিক ০৬ এমএসএল। গত তিন দিনে প্রায় এক ফুট পানি বেড়েছে।
কাপ্তাই জলবিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যবস্থাপনা এ টি এম আবদুল জাহেদ বলেন, ‘কাপ্তাই হ্রদে পর্যাপ্ত পানি রয়েছে, সে জন্য আমরা কাপ্তাই জলবিদ্যুৎকেন্দ্রের সব ইউনিট চালু রেখেছি। আজ বুধবার ২০০ থেকে ২১০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। আজ পানির উচ্চতা ছিল ১০৬ দশমিক ১১ ফুট।’