চট্টগ্রাম নগরের চেরাগী মোড়ে সাউন্ড গ্রেনেড, কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে পুলিশ। আজ সোমবার বিকেল চারটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশ কয়েকজনকে আটক করে।
আজ তিনটায় নগরের জামালখানে প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি করার কথা বলেছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। তবে এর আগেই ওই এলাকায় পুলিশ, বিজিবি ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা অবস্থান নেন। ফলে সেখানে কোনো শিক্ষার্থী জড়ো হননি।
তবে বেলা সাড়ে তিনটার দিকে চেরাগী পাহাড় মোড়ে অবস্থান নেন ২০–৩০ জন বিক্ষোভকারী। সেখানে তাঁরা স্লোগান দিতে থাকেন। এ সময় পুলিশ দুজনকে আটক করে প্রিজন ভ্যানে তুলতে চাইলে বিক্ষোভকারীরা বাধা দেন। তাঁরা প্রিজন ভ্যানের সামনে সড়কের ওপর বসে পড়েন। তবে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তাঁদের নিয়ে যায়। এ সময় আওয়ামী লীগের এক সমর্থকও বিক্ষোভকারীদের মারধর করেন।
এরপর বিক্ষোভকারীরা মোড়ের এক পাশে সড়কে বসে স্লোগান দিতে থাকেন। এভাবে ১৫ মিনিট বসে থাকার পর পুলিশ দুটি সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। প্রত্যক্ষদর্শী ও বিক্ষোভকারী সঙ্গে কথা বলে এবং সরেজমিনে দেখা যায়, সাউন্ড গ্রেনেড ও কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপের পর বিক্ষোভকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যান। এরপর পুলিশ লাঠিপেটা করে সবাইকে সরিয়ে দেয়।
ঘটনাস্থলে তিন বিক্ষোভকারী প্রথম আলোকে বলেন, গত কয়েক দিনে সংঘর্ষে বহু মানুষ নিহত হয়েছেন, সেসব হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে তাঁরা বিক্ষোভ করছিলেন। এ ছাড়া গণহারে গ্রেপ্তার ও তুলে নিয়ে যাওয়ার প্রতিবাদ করছিলেন। শান্তিপূর্ণভাবেই বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছিলেন তাঁরা। পুলিশ তাঁদের কয়েকজনকে আটক করে নিয়ে গেছে।
আটকের বিষয়টি স্বীকার করলেও কতজনকে নেওয়া হয়েছে, তা তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারেননি নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (কোতোয়ালি অঞ্চল) অতনু চক্রবর্তী। তিনি বিকেল সোয়া পাঁচটায় প্রথম আলোকে বলেন, ‘কতজনকে আটক করা হয়েছে, তা এখনো জানি না। আর লাঠিপেটার বিষয়টি খতিয়ে দেখতে হবে।’