নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় মারজান আক্তার (২১) নামের এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডে ওই গৃহবধূর বাবার বাড়ি থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়।
ওই গৃহবধূ ‘আত্মহত্যার’ আগে এক ভিডিও বার্তায় স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও দাদি শাশুড়ির বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ করেন। গৃহবধূর বাবা আবু নাছের ওই ভিডিওটি পুলিশের কাছে জমা দিয়েছেন। এ ঘটনায় আত্মহত্যার প্ররোচনায় থানায় মামলা করা হয়েছে। কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রণব চৌধুরী বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন।
ওসি প্রণব চৌধুরী বলেন, স্থানীয় লোকজনের তথ্যের ভিত্তিতে বাবার বাড়ি থেকে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। লাশটি থানায় রাখা হয়েছে। কাল সকালে ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। তিনি বলেন, ওই গৃহবধূর একটি ভিডিও তিনি পেয়েছেন। এ ঘটনায় আত্মহত্যার প্ররোচনায় থানায় মামলা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মারজানের বাবা তাঁর কক্ষের দরজা খুলে মেয়েকে ফাঁস লাগানো অবস্থায় দেখতে পান। পরে তাঁকে উদ্ধার করে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে পুলিশ তাঁর লাশ উদ্ধার করে।
নিহত গৃহবধূর বাবা আবু নাছের অভিযোগ করে বলেন, মারজানের শ্বশুরবাড়ি লক্ষ্মীপুরে। চার দিন আগে স্বামীর বাড়ি থেকে মারজান তাঁদের বাড়িতে আসে। শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের মানসিক নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে গলায় ফাঁস দিয়ে ‘আত্মহত্যা’ করেছেন তিনি। ফাঁস দেওয়ার আগে মেয়ে তাঁর মুঠোফোনে এক ভিডিও করে মৃত্যুর জন্য তাঁর স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও দাদি শাশুড়িকে দায়ী করে গেছেন। তিনি ভিডিও বার্তাটি পুলিশের কাছে দিয়েছেন।