বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ বলেছেন, আওয়ামী লীগের রাজনীতির কবর রচিত হয়েছে। জনগণকে কবর দিতে গিয়ে আওয়ামী লীগ নিজেরাই কবরে ঢুকেছে। তারা গণশত্রু, গণহত্যাকারী ও লুটপাটকারী। তাদের জায়গা বাংলাদেশের রাজনীতির ময়দানে আর হবে না।
আজ রোববার সকালে ময়মনসিংহের ধোবাউড়া বাজারে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথাগুলো বলেন। সম্প্রতি ভয়াবহ বন্যায় ধোবাউড়ায় শতাধিক ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মধ্যে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানে পক্ষ থেকে ঢেউটিন বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
ঢেউটিন বিতরণ অনুষ্ঠানে ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মফিজ উদ্দিন সভাপতিত্ব করেন। উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য অধ্যাপক আজহারুল ইসলাম, আনিসুর রহমান, মোয়াজ্জেম হোসেন খান, ফরহাদ রাব্বানী, বিএনপির নেতা আবদুল কুদ্দুছ প্রমুখ।
এমরান সালেহ বলেন, তাড়াতাড়ি নির্বাচন হলে ষড়যন্ত্র টিকবে না। দীর্ঘায়িত হলে ষড়যন্ত্র ডালপালা বিস্তার করবে। বিজয়ের মাস ডিসেম্বরে সবাইকে দেশ রক্ষার শপথ নিতে হবে। যুদ্ধের মাধ্যমে রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব কেউ বিপন্ন করতে পারবে না। যুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশ অন্য কোনো দেশের ইশারায় ষড়যন্ত্র সহ্য করবে না।
বিএনপি সব সময় জনগণের পাশে থাকে জানিয়ে এমরান সালেহ বলেন, বিএনপির রাজনীতি জনকল্যাণে নিবেদিত। বিরোধী দলের অবস্থানে থেকেও তারেক রহমান জনগণের দুঃখ-দুর্দশায় মানুষের পাশে থাকছেন। বৈরী পরিবেশেও ‘জনগণের পাশে থাকার ও জনগণকে সঙ্গে রাখার’ নীতি অবলম্বন করছেন। বিএনপি, শহীদ জিয়া, খালেদা জিয়া, তারেক রহমান কথামালার রাজনীতি নয়, সরকারে না থেকেও দুর্যোগকালেও মানুষের পাশে যেভাবে থাকছেন, তা নজিরবিহীন। আওয়ামী লীগ বিগত ১৫ বছরে ফটোসেশনের রাজনীতি এবং দুর্নীতি, লুটপাট, তাঁবেদারি ও জনগণের অধিকার হরণ করেছে। রাজনীতির নামে অভিনয় করে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করেছে।
৩১ দফার আলোকে রাষ্ট্র মেরামত করা হবে—জানিয়ে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব বলেন, জনগণের রায়ে তারেক রহমান রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ পেলে ৩১ দফার আলোকে রাষ্ট্রকাঠামো মেরামত ও জনকল্যাণে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবেন। ফ্যামিলি কার্ড, কৃষক কার্ড, পল্লী রেশন, সবার জন্য চিকিৎসা, শিক্ষা, কর্মসংস্থান, বেকার ভাতাসহ যুগান্তকারী পদক্ষেপ নেবেন। দুর্নীতি, লুটপাট বন্ধ করে মাঠে-ঘাটে, কল-কারখানায় উন্নয়ন-উৎপাদনের জোয়ার সৃষ্টি করবেন।
জনগণকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে এমরান সালেহ বলেন, ছাত্র-গণবিপ্লবে ফ্যাসিবাদের পতনের পর দেশ গঠনে যে সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হয়েছে, তা বন্ধ করতে দেশ-বিদেশে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। ষড়যন্ত্রকারী যত শক্তিশালী হোক না কেন, হাজার হাজার ছাত্র জনতার রক্তে রঞ্জিত জাতীয় ঐক্যে তারা ব্যর্থ হতে বাধ্য।