বোদা উপজেলায় বাঁধ দিয়ে পুকুর খনন করা হয়েছে। নদীরক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান ওই এলাকা পরিদর্শন করেন।
মাছ চাষ করার জন্য পাম নদের মধ্যে বাঁধ নির্মাণ করে পুকুর খনন করা হয়েছে। বাঁধটি নির্মাণ করা হয়েছে একটি সেতুর সামনে। এভাবে নদ নালায় পরিণত করে সংযুক্ত করা হয়েছে সেতুর মুখে।
পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার গড়েরডাঙ্গা-পামের পাড়া এলাকায় পাম সেতুর পূর্ব দিকে এভাবেই পুকুর খনন করেছেন জিয়াউর রহমান।
স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে খবর পেয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার এই এলাকা পরিদর্শন করেছেন জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান সারোয়ার মাহমুদ। এ সময় তিনি নদের গতিপথ পরিবর্তনকারী ব্যক্তি ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় জিয়াউর রহমান তাঁর কাগজপত্র নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যানকে দেখান।
পরিদর্শন শেষে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান সারোয়ার মাহমুদ বলেন, ‘আমরা পরিদর্শনে এসে দেখলাম, আগের নদী যেভাবে ছিল, সেখান থেকে বোধ হয় কিছুটা নানা কারণে পরিবর্তন হয়ে গেছে। পরিবর্তন যতটুকু হয়েছে, এর মধ্যে কতটুকু ঠিক হয়েছে কতটুকু হয়নি, সেটির ব্যাপারে আমরা কাগজপত্র দেখে, রেকর্ড দেখে মূল্যায়ন করব এবং আমরা যে তথ্যগুলো নিয়ে গেলাম, সেগুলো যাচাই–বাছাই করব। তারপর আমরা এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করব। তবে আমি চাই, এখানে নদীর প্রবাহ এবং জীববৈচিত্র্য যেন ঠিক থাকে, সে ব্যাপারে সবাই উদ্যোগী হবেন।’
যার বিরুদ্ধে নদীতে বাঁধ দিয়ে পুকুর কাটার অভিযোগ উঠেছে, সেই জিয়াউর রহমান গড়েরডাঙ্গা-পামের পাড়া এলাকার প্রয়াত মখলেছার রহমানের ছেলে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সেতুর সামনের অংশের ওই জমি আমাদের পৈতৃক। এই জমি আমরা দুই ভাই মিলে নিয়েছি। এ ছাড়া আদালতের রায়ে আমি প্রায় আড়াই বিঘা অর্পিত সম্পত্তি পেয়েছি। মাছ চাষ করার জন্য চারপাশ বেঁধে পুকুর করেছি। এর জন্য রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক থেকে ১০ লাখ টাকা ঋণও করেছি। আমি নদীর (নদের) জমিতে পুকুর করিনি। নদী (নদ) তার জায়গায় আছে।’
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, পঞ্চগড় সদর উপজেলার ধাক্কামারা এলাকার নিম্নাঞ্চল থেকে এই পাম নদের উৎপত্তি হয়েছে। নদটি বেংহারী বনগ্রাম ইউনিয়নের গড়েরডাঙ্গা দিয়ে সোনাচান্দি এলাকায় করতোয়া নদীর সঙ্গে মিলিত হয়েছে।